দ্রুত অবস্থান বদল করছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নন, তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর সম্পত্তি ও গয়না কোথায় রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। আর সেই তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা তাদের ব্যাঙ্কের লকারে খোঁজ নেন। আর তখনই দেখা যায় সেখানে অতিরিক্ত গয়না নেই। তবে কি বেগতিক বুঝতে পেরেই সেই গয়না সরিয়ে ফেলা হয়েছিল?
সেই সঙ্গেই বাকিবুর রহমানের তিনটি সংস্থার প্রতি নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের। মনে করা হচ্ছে এই তিনটি সংস্থার মাধ্য়মে একাধিক কারচুপি করা হয়েছে। আর বাকিবুরকে কাজে লাগিয়ে এই অনৈতিক কাজে হাত পাকিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়।
সূত্রের খবর, বালুর কন্য়া প্রিয়দর্শিনী ইডির জেরায় জানিয়েছিলেন, ওই সংস্থার নামে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল তার নথির কথা তিনি জানতে পেরেছিলেন। তবে নানা ক্ষেত্রে তাঁরা বয়ান বদল করছিলেন বলে খবর। জ্যোতিপ্রিয়কে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের সামনে বসিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথমে জ্যোতিপ্রিয় স্বীকার করতে চাননি বাকিবুরের সংস্থায় তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল। তবে ধীরে ধীরে সেই বয়ানেরও বদল ঘটে।
আদালতে পেশ করা আবেদনপত্রে ইডি উল্লেখ করেছে যে তাঁরই নির্দেশে স্ত্রী ও মেয়ে ওই সংস্থার ডিরেক্টর হন। এমনকী চেকবইতে সই করার পরে সেটা তারা জ্যোতিপ্রিয়র হাতেই দিতেন। পরে জ্যোতিপ্রিয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টকে জানিয়ে দেন ওই টাকা সরানোর জন্য। এরপর বাকিবুরের সংস্থা থেকে পুরো টাকা অন্য় সংস্থায় সরিয়ে দেওয়া হয়। এই টাকার অঙ্ক প্রায় ২০ কোটি বলে মনে করা হচ্ছে।
তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বোঝা যাচ্ছে কার্যত পাকা খেলোয়াড়ের মতোই সব গোছানো হয়েছে। তবে কি একই কায়দায় লকার থেকেও অন্যত্র গয়না সরিয়ে দেওয়া হয়েছে? ঠিক যেভাবে বাকিবুরের সংস্থা থেকে বিপুল টাকা অন্য়ত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ক্রমেই ভেঙে পড়ছেন বলে খবর। সেই সঙ্গেই সামনে আসছে দুর্নীতির একের পর এক খবর। নিজের অসুস্থতার কথা বার বার সামনে আনছেন জ্যোতিপ্রিয়। বিরোধীদের দাবি, এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য নানা নাটক শুরু করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। জেল যাত্রা এড়ানোর জন্য নানারকম ভান করা শুরু করেছেন। গোটাটাই চালাকি! দাবি বিরোধীদের।