অবশেষে স্বস্তির খবর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আঘাত হানতে চলেছে কালবৈশাখী। যার জেরে প্রায় মাসখানেক ধরে চলা তাপপ্রবাহের ইতি হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মনোনয়নে উত্তেজনা, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হল থানায়
পড়তে থাকুন: অনুব্রত অতীত, বীরভূমে এবার পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে, দাবি দেবতনু ভট্টাচার্যর
আকাশে ঘনাচ্ছে মেঘ
উপগ্রহ চিত্র অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে ছোটনাগপুরের মালভূমির ওপর তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ। যার জেরে পুরুল্যা ও পশ্চিম বর্ধমানের একাংশে ইতিমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় কালবৈশাখী বয়ে যাবে। ঘণ্টায় ৭০ – ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি বা টর্নেডোর মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
বিপদ থেকে বাঁচতে
ঝড় – বৃষ্টি বিপদের হাত থেকে বাঁচতে বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন, ঝড় উঠলে দ্রুত পাকা বাড়িতে ঢুকে দরজা জানলা সব বন্ধ করে দিতে হবে। প্রবল বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় কোনও কারণেই বাইরে থাকা যাবে না। ঝড় – বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গাছের তলায় বা কোনও অস্থায়ী চালার নিচে আশ্রয় নেবেন না। এই সময় জলের পাইপ বা বৈদ্যুতিক তারের থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। ঝড় – বৃষ্টির সময় বন্ধ রাখতে হবে ফেরি পারাপার।
আরও পড়ুন: আমাদের আন্দোলন নিয়ে বলার উনি কে? গঙ্গাধরের বাড়িতে বিক্ষোভ সন্দেশখালির মহিলাদের
পূর্বাভাস অনুসারে গোটা সপ্তাহ জুড়ে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড় – বৃষ্টির তীব্রতা সব থেকে বেশি থাকতে পারে সোম ও মঙ্গলবার।