বাংলায় লোকসভা ভোটের রণশৌশল ঠিক করতে রাজ্য নেতাদের উপর ভরসা করছে না বিজেপি। ভোট কৌশল নির্ধারণ করতে বেসরকারি সংস্থার সংগ্রহ করা তথ্যে উপর গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি। সম্প্রতি ভিন রাজ্যের একটি বেসরকারি সংস্থাকে এ ব্যাপারে নিয়োগ করা হয়েছে। সংস্থাটি বুথস্তর থেকে বিভিন্ন তথ্য তুলে আনছে। সেই সব তথ্য এবং রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ভোটের প্রার্থী বাছাই অন্যান্য কাজ শুরু করবে বিজেপি।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোন ভাগ করে সংস্থাটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোনও এলাকায় দলের প্রতি কতটা আগ্রহ। বুথস্তরে প্রকৃত চেহারা কী এবং কী তার উন্নতি করা সম্ভব, সেই সেই সমস্ত কিছু রিপোর্টে উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবে বেসরকারি সংস্থাটি।
কেন বেসরকারী সংস্থায় ভরসা
এর আগে রাজ্যে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে আইপ্যাককে দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। তাদের পরামর্শেই ভোটের রণকৌশল সাজিয়ে ছিল ঘাসফুল শিবির। এবার লোকসভা ভোটে সেই পথে হাঁটছে বিজেপি।
অমিত শাহ রাজ্যে এসে ৪২টি আসনের মধ্যে অন্তত ৩৫টা আসনের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন। সেই টার্গেট কতটা মেটানো যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে খোদ রাজ্য বিজেপির একাংশের। তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আসলে অমিত শাহ আসলে টার্গেটটা একটু উঁচঁতে বেধে দিয়েছেন, যা তিনি গত লোকসভা নির্বাচনে ছিল ২২। ফলে সেবার ১৯ টি আসন পাওয়া গিয়েছে। এবার তাই টার্গেট বেঁধে দিলেন ৩৫-এ।
এক কলকাতা জেলার এক বিজেপি নেতার কথায়, আসলে রাজ্য বিজেপির দেওয়া তথ্যের উপর ভরসা করতে পারছে না দিল্লি, কারণ তাঁর যে তথ্য দিয়েছেন তার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করে যাচ্ছে। তাই বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে নতুন করে তথ্য সংগ্রহ কারাচ্ছে দিল্লি। তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে চাইছেন নড্ডারা।
বাদ যেতে পারে পুরনো নাম
বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে জেতা প্রার্থীদের অনেকেই জনপ্রিতা হারিয়েছেন। তাঁদের এবার টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে। তাঁদের বদলে যাঁরা পেতে পারেন তেমন বেশ নাম ওই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেই নামগুলি নিয়েও খোঁজখবর করবে। যদিও প্রকাশ্যে এই নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে দলের অন্দরে এটাই বর্তমানে আলোচ্য বিষয়।