বেজিং: উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতোই খবর, তবে ভারতে নয়। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনের সরকার। জন্মহার বাড়াতেই এমন অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে চিনের সরকার। সার্বিক নিরিখে এগিয়ে থাকলেও, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জন্মের হার, প্রবীণ জনসংখ্যা। জনসংখ্যায় ভারসাম্য আনতে তাই এভাবেই উদ্যোগী হয়েছে চিন। জন্মহার বাড়াতে সুপারিশ করেছে সরকার।
আর এই জন্মহার বাড়াতে একে অপরকে আগে প্রেম-ভালবাসা-সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ফলে সেদিকে অনুপ্রেরণা দিতে অভিনব পদক্ষেপ করেছে চিনের ৯টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। এপ্রিল মাসে সেখানে পড়ুয়াদে গণছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যাতে যুবসমাজ প্রেমে পড়ে, পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সম্পর্ককে। তারপর সন্তান জন্মের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যায় ভারসাম্য আসে।
আরও পড়ুন: কলার গায়ে লেগে থাকে সুতোগুলি পেটে গেলে কী হয়? এগুলি কি খাওয়া উচিত? জানলে মাথা ঘুরে যাবে
চিনের ফাং মি এডুকেশন গ্রুপই প্রথমে এই পদক্ষেপ করে। তাদের অধীনস্থ মিয়াংইয়াং ফ্লাইং ভোকেশনাল কলেজ গত ২১ মার্চ বসন্তকালীন ছুটি ঘোষণা করে। প্রেম, সম্পর্ককে প্রাধান্য দিতেই এই ছুটি। এই ছুটিতে পড়ুয়াদের প্রেমে পড়তে, সম্পর্কের জটিলতা মিটিয়ে নিতে, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় একান্তে সময় কাটাতে বলা হয়েছে। এটি ফের চলছে ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: উধাও আরাম, জ্বালাপোড়া গরম পড়বে কলকাতায়! আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন কবে থেকে?
কলেজের ডেপুটি ডিন লিয়াং গুয়োহুই লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘আশাকরি পড়ুয়ারা সবুজ দেখতে যাবেন, পাহাড়ে ঘুরবেন এবং বসন্ত উপভোগ করবেন। এতে পড়ুয়াদের মনের ব্যাপ্তিই ঘটবে না শুধুমাত্র, ক্লাসরুমও সমৃদ্ধ হবে’। মূলত চিনে ‘এক সন্তান’ নীতি বহুদিন ধরেই চালু রয়েছে। সেই যুগে অধিকাংশ দম্পতি কন্যাসন্তানের বদলে পুত্রসন্তান বেশি চাইতেন। যার ফলে এখন চিনে মেয়েদের চেয়ে ছেলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। মেয়েদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিয়ের জন্য অনেক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন ছেলেরা। গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপ।
Tags: China, Love and relation, Romance