অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন কলকাতার পার্ক সার্কাসে তৃণমূলের ‘সংহতি মিছিল’ শেষে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, যারা কাফের, যারা কাপুরুষ তারাই ভয় পায়। ওরাই মরে। যারা লড়াই করে তারাই বেঁচে থাকে। তাই আমরা একসঙ্গে থাকার জন্য লড়াই করব।
এদিন মমতা বলেন, ‘লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই চলবে। আমরা লড়ব। আমরা ভয় পাবো না। যারা কাফের, যারা কাপুরুষ তারাই ভয় পায়। ওরাই মরে। যারা লড়াই করে তারাই বেঁচে থাকে। তারাই কাজ করে’।
মঞ্চে তাবড় ধর্মগুরুদের সামনেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘খাবার পয়সা দেয় না। রাস্তায় পয়সা দেয় না। GSTর নামে আমাদেরই টাকা নিয়ে যায়। তার ভাগ পর্যন্ত আমাদের দেয় না। আর দেখুন সব জায়গায় এলইডি লাগিয়ে এত সাজিয়ে আবার প্রতিযোগিতা করেছে’!
এদিন রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করায় সংবাদমাধ্যমের ওপর বিষোদ্ধাগ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘বাংলার মানুষ যদি আগামীদিন বাংলাকে, দেশকে বাঁচাতে চান, রাজা রামমোহন রায়কে, ঈশ্বরচন্দ্রকে, বিবেকানন্দকে, রবীন্দ্র – নজরুলকে বাঁচাতে চান, তাহলে মনে রাখবেন তাহলে খবরের চ্যানেল দেখবেন না। দেখলে আপনাদের টেনশন হবে’।
এমনকী বিজেপিকে নারিবিরোধী বলেও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘আমি রামের বিরুদ্ধে নই। আমি রাম – সীতা ২ জনকেই শ্রদ্ধা করি। তোমরা তো সীতাদেবীর নামটা একবারও বলো না। তার মানে কি নারীবিরোধী? সীতা না থাকলে রাম হয় না। আর কৌশল্যাদেবী না থাকলে রামের জন্ম হয় না। রামের সঙ্গে যিনি বনবাসে গিয়েছিলেন তিনি সীতাদেবী। আর অগ্নিকাণ্ডেও তাঁকে পাতালে প্রবেশ করতে হয়েছিল। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য’।
মমতা দাবি করেন, ‘রামচন্দ্র দুর্গাপুজো করেছিলেন রাবনকে হত্যা করার জন্য। মা দুর্গা আমাদের শ্রেষ্ঠ দেবতা। এর থেকে বেশি আর কী করতে পারি? আমরা জানি না কে দেব, কে দেবতা? আমরা জানি মা দুর্গাকে। জানি আল্লাহকে। আমরা জানি ঈশ্বরকে। আমরা জানি মহাবীরকে। আমরা জানি গুরুনানককে। এরকম ধরণের মানুষকে আমরা সব সময় শ্রদ্ধা করি’।
এদিনের সভায় মমতা বলেন, ‘লড়াই সবে শুরু হয়েছে। সম্প্রীতির জন্য লড়াই। আমরা সবাই একজোট হয়ে থাকব। শান্তিপূর্ণভাবে থাকব। আমরা দাঙ্গা করব না। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলে মিশে থাকব।’