বাংলার অন্তত দুজন মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার। মহুয়া মৈত্র ইস্যুতেও কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। তবে এবার ফুল ফর্মে ময়দানে নামছেন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ১৬ নভেম্বর থেকে ময়দানে নামছেন নেত্রী। কার্যত উড়ে যেতে পারে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগ।
পুজোর আগে থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মূলত পায়ের সমস্যার জন্য় তিনি ঘর থেকে বের হননি। তবে ফের তিনি নবান্নে যাচ্ছেন। আর সেই সঙ্গেই এবার রাজনৈতিক কর্মসূচির দিকেও বাড়তি নজর তাঁর। কারণ দুর্নীতির অভিযোগে কার্যত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আবার নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা তৃণমূল দুর্নীতিতে ডুবে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি আস্থা কিছুতেই কমে না আম জনতার। সেকারণেই ভোটের আগে মমতা বলেন, সব আসনে দাঁড়াচ্ছি আমি। কার্যত মমতার ছবিকে সামনে রেখেই ময়দানে নামে তৃণমূল। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, ভাইফোঁটার পরের দিনই কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল।কারণ উৎসবের মরশুম শেষ হওয়ার পরে আর একটা দিনও অপেক্ষা করতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ অশনি সংকেত শুনতে পাচ্ছেন অনেকেই। এরপর আর কোন রাঘববোয়াল দুর্নীতির অভিযোগে ধরা পড়বেন তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে ১৬ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে এবার বড় বার্তা দিতে পারেন মমতা। কার্যত আন্দোলনের মাধ্যমে, নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্নীতির আলোচনা থেকে জনতার মনকে ঘোরাতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির।
কার্যত লোকসভা নির্বাচনের কিছুটা আগে থেকেই দলকে ময়দানে নামিয়ে দিতে চাইছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ পার্থর পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরে বাসে ট্রেনে জোর চর্চা চলছে। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও নানা ট্রল করা চলছে। এসব বাড়তে থাকলে জনতার সঙ্গে দলের নেতাদের দূরত্ব তৈরি হবে।সেকারণেই প্রথমে বিজয়া সম্মিলনী আর তারপরেই নেতাজি ইন্ডোর থেকে মমতার বার্তা। আসলে কোথাও যাতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে ফাঁক না থাকে তার জন্য একেবারে মরিয়া চেষ্টা তৃণমূলের। আর শীর্ষে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তখন তৃণমূলের টেনশন যে কম সেটা বলাই বাহুল্য।