মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ে ছোটখাটো অপারেশন করা হতে পারে। তেমনটাই জানা যাচ্ছে এসএসকেএম সূত্রে। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবোধনে রয়েছেন। পায়ে ছোট ছোট থেরাপি চলছে। এখনও সপ্তাহ খানেক এই খেরাপি চলবে বলে হাসপাতাল সূ্ত্রে জানা গিয়েছে। তার পর অবস্থা বুঝে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা।
( পড়তে পারেন। ‘আর ৩০ সেকেন্ড দেরি হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ করে যেত’, ভয়ংকর ঘটনা জানালেন মমতা)
গত সপ্তাহেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ গিয়ে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার সময় তাঁর ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন কি নামতে ৩০ সেকেন্ড দেরি হলে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ত বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কথায়, ‘আর তিরিশ সেকেন্ড দেরি হলে কপ্টারটা ভেঙে পড়ত। নষ্ট হয়ে যেত। আপনাদের আর্শীবাদ ও দোয়ায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছি।’
এই দুর্ঘটনায় তিনি কোমরে ও পায়ে চোট পান। তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম-এ আনা হলে চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করে জানান তাঁর লিগামেন্টে চোট লেগেছে। বাঁ পায়েই তাঁর আঘাত গুরুতর।
চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করানোর কথা বলেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চান। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। তবে পায়ের ব্যথা এখনও আছে। হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। তবে মানসিক ভাবে বেশ শক্তই মুখ্যমন্ত্রী। আর কয়েকদিন পঞ্চায়েত ভোট। তাই কিছুটা সুস্থ হয়েই তিনি ফোনের মাধ্যমে জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন।
(পড়ুন। দুবরাজপুরে ভার্চুয়াল সভায় কেষ্টর হয়ে সওয়াল মমতার, জানালেন বাড়ি থেকে কবে বেরোবেন)
সোমবার দুরবাজপুরের সভায় মমতা বলেন,’আমার পায়ে ও কোমরে লেগেছে। ছোট ছোট থেরাপি হচ্ছে। এখনও বাড়ি থেকে বেরোতে ৮-১০ দিন লাগবে।’ জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যিনি মঞ্চের একপ্রান্ত থেকে আর একপ্রান্ত হেঁটে বেড়ান, তাঁকে জনসভায় বক্তব্য রাখতে হচ্ছে ফোনের মাধ্যমে, বাড়িতে বসে, তা যে কতটা যন্ত্রণার সভায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়,’আমি তো আপনাদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। কিন্তু মন ছটফট করছে।’
তার চেয়ে বেশি চিন্তিত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে। এবারও পঞ্চায়তে ভালো ফল করে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।