এক ভিডিয়ো বার্তায় ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সভার প্রচার করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনার’ অভিযোগে আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ। তারই এক্স হ্যান্ডেলে এক ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই ভিডিয়ো বার্তার সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, ‘বাংলার ধৈর্য ও সৌজন্যকে তার দুর্বলতার ভাবা উচিত নয়। বহিরাগত জমিদারদের অবশ্যই ১০ মার্চ এই কথা মনে করিয়ে দিতে হবে। এই রবিবার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে।’
ভিডিয়ো বার্তায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতির নাম করে বাংলাকে ভাগ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত আমরা মানতে পারব না। বাংলা বলে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কিন্তু এখানে তাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই চক্রান্ত আমরা মানতে পারব না। আসুন আমরা ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে গর্জন করি।’
তিনি বলেনে, ‘আধার কার্ড বন্ধ করার নামে এনআরসি সিএএ চালু করার চেষ্টা চলছে, এ সব আমরা মেনে নেব না। আমরা আমাদের মতো করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।’
আরও পড়ুন। মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা মোদীর, কী কথা হল আজ?
প্রসঙ্গত এমনই দিনে এই ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে যে দিন রাজ্য এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নারীদের প্রতি ‘অমর্যাদার’ অভিযোগ তোলেন। এদিন তিনি আলাদা করে সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষ হয়ে যাবার খানিকবাদেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন। তোষণ ও তোলাবাজির জন্যই বাংলায় নারী নির্যাতন: মোদী
বুধবার গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীক। কিন্তু, তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেননি। এমনকী তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে এই অনুষ্ঠানে পাঠাননি। যদি সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বাভাবিক কাজকর্মই চালিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে নবান্নেও গিয়েছেন। কোন কারণে তিনি রেলের অনুষ্ঠানে গেলে তাও নবান্ন থেকে জানানো হয়নি।