ভুল চিকিৎসায় তাঁর পায়ে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, চিকিৎসকদের পরামর্শেই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেননি তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ইনফেকশনটা সেপটিক টাইপের হয়ে গিয়েছিল ভুল ট্রিটমেন্টের ফলে। সেজন্য হাতে স্যালাইন করে শিকার ভিতরে ওষুধ দিতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন নন্দীগ্রামে গাড়িতে ওঠার সময় পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে আসা হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায় মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। ভাঙা হাড় জুড়তে প্লাস্টার কাস্টিং করে দেন চিকিৎসকরা। এর পর তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন তাঁরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই পরামর্শ মানেননি। ভাঙা পা নিয়েই গোটা রাজ্যে ভোট প্রচার করেন তিনি। স্লোগান দেন, ভাঙা পায়ে খেলা হবে। ভোটের পরে যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কাস্টিং খুলে দেওয়া হয়। এর পর তাঁর পায়ে কোনও সমস্যা রয়েছে বলে আর শোনা যায়নি।
সেপ্টেম্বরে দুবাই ও স্পেন সফরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে রীতিমতো দৌড়াতে দেখা যায়। স্পেন সফর থেকে ফিরেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর SSKM হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই তাঁর পায়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়। এর পরই বিশ্রামে চলে যান তিনি। এর পর মঙ্গলবার প্রথম নবান্নে দেখা যায় তাঁকে। তার পরদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন তাঁর পায়ের ভুল চিকিৎসা হয়েছে, দাবি করলেন মমতা।