ফের একবার কেন্দ্র রাজ্য কাজিয়ার বলি হতে চলেছে রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়ন। অসহযোগিতার পথে হেঁটে মেট্রো রেলের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙার প্রশ্ন নেই বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের একাংশ ভাঙা প্রয়োজন বলে নবান্নকে চিঠি দিয়েছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে জোকা – বিবাদী বাগ মেট্রোর জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জমি দিতেও অস্বীকার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাম – কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্র – রাজ্য এই আকচা আকচিতে আসলে বঞ্জিত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ।
দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর সম্প্রসারণের জন্য গত সপ্তাহেই রাজ্যের কাছে স্কাইওয়কের একাংশ ভেঙে ফেলার আবেদন জানিয়েছিল মেট্রো রেল। একই সঙ্গে জোকা – বিবাদী বাগ মেট্রোর জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জমি চেয়েছিল তারা। মঙ্গলবার মেট্রোকে সেই চিঠির জবাব দিয়ে রাজ্য জানিয়েছে, স্কাইওয়াক ভাঙার প্রশ্ন নেই। আর আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জমিও মেট্রোকে দেবে না রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে ২ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে চলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের দাবি, দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক বানানোর আগে মেট্রোর অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তখন অনুমতি দিলেও এখন তারা জমি চাইছে। ওদিকে বিপুল টাকা খরচ করে স্কাইওয়াক বানিয়েছে রাজ্য। তাই স্কাইওয়াক ভাঙা সম্ভব নয়। আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জমি দিতে অস্বীকার করে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, পাশেই কেন্দ্রীয় সরকারের জমি রয়েছে। সেই জমিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক মেট্রো।
বাম – কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্র – রাজ্য সংঘাতে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজ্যবাসী। তা রাস্তা তৈরির জন্য জমি হোক বা কেন্দ্রের কোনও জনকল্যাণমুখি প্রকল্প, সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বার বার রাজ্যবাসীর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মেট্রোর সূত্রে খবর, মেট্রোর লাইন ইচ্ছা মতো যে কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই যে জমির জন্য আবেদন করা হয়েছে তা না পেলে মেট্রো সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। দক্ষিণেশ্বরে জমি না পেলে উত্তর – দক্ষিণ মেট্রোয় যাত্রার সময় কমানো সম্ভব নয়।