পুদুচেরিতে পতন ঘটল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের। নির্বাচনের আগেই আস্থা ভোটে হেরে গেলেন তিনি। ফলে পুদুচেরি কংগ্রেসের হাতছাড়া হল।আস্থাভোটে হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী পদত্যাগ করলেন।সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করতে ব্যর্থ হল নারায়ণস্বামীর সরকার। কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরি বিধানসভার মোট আসন ৩৩ টি। কিন্তু ২০২০ সালের জুলাই থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত একের পর এক বিধায়কের পদত্যাগের পর মোট আসনসংখ্যা কমে ২৬ হয়। সে ক্ষেত্রে সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য ১৪টি আসনই যথেষ্ট ছিল। রবিবার শাসক শিবিরের দু’জন বিধায়ক, কে লক্ষ্মীনারায়ণ ও কে বেঙ্কটেশন পদত্যাগ করায় জোট সরকারের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ তে।এই অবস্থায় বিরোধীদের পক্ষ থেকে আস্থাভোটের দাবি করা হয়। বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী আস্থাভোটের প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আস্থাভোটের ফলাফলে, বিরোধী শিবিরে এনআর কংগ্রেস,এআইএডিএমকে, বিজেপি জোটের আসনসংখ্যা এখন ১৪।তাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় নারায়ণস্বামীর সরকার। এ দিন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নারায়ণস্বামী। বিজেপি শিবির থেকে মনোনীত ৩ বিধায়ককে আস্থাভোটে অংশ নিতে দেওয়া চলবে না বলে স্পিকারের কাছে আর্জি জানান তিনি। কিন্তু এর আগে একটি রায়ে মনোনীত বিধায়কদের ভোটদানের অধিকার প্রদান করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাই বিজেপি থেকে বিধায়ক পদে মনোনীত নেতারাও এ দিন ভোট দেন। তাতেই নারায়ণস্বামীর সরকার পড়ে যায়।সরকার পড়ে যাওয়ার পরেই পুদুচেরি ‘অপারেশন পদ্ম’ চালানোর অভিযোগ করেন নারায়ণস্বামী। কারণ ইতিমধ্যেই বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন কংগ্রেসের দুই নেতা।সোমবার বিধানসভা কক্ষে বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিধায়কদের দলের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত। যে বিধায়করা তাঁদের ইস্তফা জমা দিয়েছেন মানুষ ওঁদের সুবিধাভোগী হিসেবে চিনবেন। নিজের বক্তব্য রাখার পর বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান ভি নারায়ণস্বামী।বিধানসভার স্পিকার আস্থাভোটের ফলাফল ঘোষণা করার পরেই পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন। এদিন ভি নারায়ণস্বামী অভিযোগ করেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল কিরণ বেদী ও কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। পুদুচেরির মানুষদের কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।