মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার কোনও অভিপ্রায় নিয়ে দিল্লি যায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের উদ্দেশ ছিল পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বোকা বানানো আর নাটক করা। শনিবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠতে এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধিকা নিরঞ্জন জ্যোতি। তৃণমূলকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘আমি কলকাতায় এসেছি। যেখানে সুবিধা হয় বৈঠকে বসুন।’
এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়ে ২০১৯ – ২১ সাল পর্যন্ত পর পর ৩ বছর রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন। কিন্তু কারও শাস্তি হয়নি। আমি আজ সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে এসেছি। তৃণমূল বলেছিল সাধিকাজি পালিয়েছে। আমি তাদের বলছি। আমি আজ পশ্চিমবঙ্গে এসেছি। যেখানে সুবিধা হয় আমার সঙ্গে কথা বলুন। ওরা চাইলে আমি গ্রামোন্নয়ন দফতরেও বৈঠক করতে রাজি। কিন্তু ওদের কথা বলার কোনও ইচ্ছা নেই। ওরা শুধু পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বোকা বানাতে চায়। নাটক করতে চায়। আমরা পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সঙ্গে এই প্রতারণা করতে দেব না’।
তিনি আরও বলেন, মোদীজির সরকার ২০২০ সালে করোনার সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনার অধীনে বিনমূল্যে রেশন দিচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকারকে ৩৯ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বঞ্চনা করার ইচ্ছা থাকলে এই টাকাও আমরা আটকে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি জানতাম না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কতদূর যেতে পারে। আমি একজন সন্ন্যাসিনী। আমি নেতা নই।
সাধিকা নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আমার দফতরই বরাদ্দ করে। তার টাকাও তো আটকে দিতে পারতাম। UPA জমানায় পশ্চিমবঙ্গ এই প্রকল্পে ৫,৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। মোদী সরকার ৯ বছরে এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে ১১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে’।