Pakistanis in Indian Army: ইন্ডিয়ান আর্মিতে জলজ্যান্ত পাক ISI চর। ব্যারাকপুরের বুকে যে ঘটে গেল নাড়িয়ে দিচ্ছে দেশকে। সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত যেতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতে ঢুকে এত বড় ঘটনা ঘটানো হল কীভাবে? ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দিব্যি ডিউটি করে যাচ্ছে দু দুজন পাকিস্তানী নাগরিক? এবার আর হানিট্র্যাপ নয় সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে টার্গেটে। ইন্ডিয়ান আর্মির জওয়ান ২৪ ঘন্টা ওঠাবসা, কথোপকথন ঠিক কোন কোন তথ্য ISIকে এতদিনে পাচার করা হয়ে গিয়েছে? গোটা ঘটনায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত তুলে দেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তারপরই যে পেঁয়াজের খোসার পর একের পর এক রহস্যের দরজা খুলে যাচ্ছে? অভিযোগটা ঠিক কী? সেটা জানুন আগে।
ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন কর্মরত পাকিস্তানের নাগরিক বলে অভিযোগ। তাঁদের নাম জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার। অভিযোগ পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। কতটা সত্যি এই অভিযোগ? কেন ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিই বেছে নেওয়া হল? সত্যি কি এভাবেই বাংলা সহজ টার্গেট হয়ে যাচ্ছে? প্রাথমিকভাবে গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখে সিবিআই। যেসব ইনফো তুলে ধরছে বা আদালতে পেশ করছে সেটা শুনে চমকে উঠছেন অনেকেই। সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে জাল নথির মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যে নিয়োগ হয়েছে তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতেও এ ভাবে নিয়োগ হয়েছে। অভিযোগ, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, ভিনরাজ্যেও এই নিয়োগের নজির রয়েছে। অন্তত চার জনের বেআইনি নিয়োগের কথা জানতে পেরেছে সিবিআই। সেনাবাহিনীতে অন্য দেশের নাগরিক ঢুকে পড়ার যে অভিযোগ উঠেছে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, এমনকি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তার গুরুত্ব রয়েছে।
পাকিস্তানি নাগরিকেরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল কি করে? সিবিআই জানাচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারত-সহ একাধিক রাজ্য থেকে জাল নথি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও পুরো ইনভেস্টিগেশন শেষ হয়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এমন অনেক তথ্য এবার উঠে আসতে পারে যা রীতিমত চাঞ্চল্যকর। সিবিআই বলছে জাল নথির মাধ্যমে কোনও পাকিস্তানি নাগরিক। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ঢুকেছেন কি না, তা এখনও কনফার্ম করা যায়নি তবে সিবিআই সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলছে এই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণও আপনার জানাটা প্রয়োজন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় কম নম্বরের মাধ্যমে এখানকার বাহিনীতে নিয়োগের একটা সুযোগ রয়েছে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিনরাজ্যের নাগরিকেরা জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে। বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়ছেন। দ্রুত তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন কারণ দেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে গোটা বিষয়টার সঙ্গেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়