রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বেশ কয়েকজন কর্মীর বদলিকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। হঠাৎ তাঁদের বদলি ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কর্মী মহলে।
সরকারি সূত্র খবর, সম্প্রতি কমিশনের এক জন অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ও চার জন লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্টকে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক দফতরে বদলি করা হয়েছে। আপাতত তাঁর ছমাস ওই দফতর কাজ করবেন। এর পর তাঁদের জন্য কোনও দফতর নির্ধারিত হবে। এই বদলিতে কেন চাঞ্চল্য কর্মীদের মধ্য? এর কারণ হল পিএসসিতে খুব একটা বদলি হয় না। ছ বছর আগে কমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার এক আধিকারিককে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং মহকুমায় প্রশাসনিকস্তরে বদলি করা হয়। তারপর আর কোনও বদলির করা হয়নি। এত দিন বাদে ফের বদলি করা হল।
বাম কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির দাবি ওই পাঁচজন তাদের সমর্থক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত বলেন,’ওঁরা সততার সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কাজ করছিলেন। তাই ওঁদের উপর খাঁড়া নেমে এল।’
(পড়তে পারেন। দুর্ঘটনা কমাতে গাড়ির গতি বাঁধতে চায় রাজ্য, সাহায্য চাইল IIT খড়গপুরের)
(পড়তে পারেন। বাংলার সব মিষ্টি GIপাক! ইকোপার্কের কাছে মিষ্টি হাবের জন্য ২০ কাঠা জমি: মমতা)
তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন পিএসসি ইউনিটের অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু কর্মী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাত নটা দশটা পর্যন্ত অফিসে থাকছেন। এ অভিযোগ জানিয়ে তাঁরা কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিও দিয়েছেন। যাঁদের বদলি করা হয়েছে তাঁদের একজন বাদে এলডিএ বাদে বাকিরা রাত অবধি কাজ করতেন।
তবে নজিরবিহীন ভাবে হঠাৎ একসঙ্গে এতজন কর্মীকে বদলি নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে।