রাজ্যে আরও সাতটি ওভারব্রিজ তৈরির উদ্যোগ। রাজ্যের একাধিক স্টেশনে এই ওভারব্রিজ তৈরির কথা ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে এই ওভারব্রিজের মাধ্যমে রেলযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়বে। পূর্ব রেলের আওতায় সব মিলিয়ে সাতটি জায়গায় এই ওভারব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন রাজ্যের একাধিক স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজের দাবি মেনে নিয়েছে রেল। এজন্য রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের বাংলার জন্য রেলের তরফে বড় ঘোষণা।
সব মিলিয়ে সাতটি জায়গায় এই ওভারব্রিজ তৈরির কথা বলা হয়েছে। সেই সাতটি জায়গা হল বর্ধমান জেলার মেমারি, জৌগ্রাম-মশাগ্রাম, শিমলাগড়, রসুলপুর, অম্বিকা কালনা-ধাত্রীগ্রাম, বাহিরখণ্ড-তারকেশ্বর। বর্ধমান কালনা রুটে এই সাতটি ওভারব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রেল লেভেল ক্রশিংগুলো যতটা সম্ভব তুলে দিতে চাইছে। সেই জায়গায় যদি ফ্লাইওভার করা হয় তবে গাড়ি চলাচলের সুবিধা হবে। রেল চলাচলের জন্য় বার বার গেট ফেলার দরকার হবে না। সম্প্রতি এনিয়ে কাটোয়ার বাসিন্দারা নানা ঝামেলার মধ্য়ে পড়েছিলেন। কারণ বর্তমানে রামপুরহাট রুটে রেললাইনে কিছু বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বহু ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কাটোয়া রুটে বহু ট্রেন চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আখেরে সমস্যা বাড়ছে। বার বার রেল গেট ফেলতে হচ্ছে। দিনভর ওই রুটে যানজট লেগেই থাকছে। তবে সেই জায়গায় যদি ফ্লাইওভার থাকত তবে অনেকটাই সুবিধা হত বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
তবে এবার ওভারব্রিজগুলি তৈরির জন্য রাজ্যের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় কেন্দ্র। কারণ রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে ওভারব্রিজ তৈরির জন্য রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। মূলত অর্ধেক খরচ যাতে রাজ্য দেয় সেব্যাপারে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য এনিয়ে চিঠির জবাব দেয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র একাই এই খরচ বহন করবে বলে জানা গিয়েছে।