দুর্নীতি, কেন্দ্রের প্রকল্প প্রচারে থাকলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরে অন্যতম ইস্যু ‘রাম মন্দির’। গোবলয়ে রাম মন্দিরকে নিয়ে যতটা উত্তেজনা, বাংলায় তেমনটা নেই। সেটা বিলক্ষণ জানেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তবু ভোটের লড়াই রাম মন্দির নির্মাণকে যাতে ইস্যু হিসাবে সামনে আনা যায়, তাই প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর কর্মী সমর্থকদের রামলারা দর্শন সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। যাতে তাঁরা দর্শন করেই ভোটের কাজে নেমে পড়তে পারে তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কার্যবিবরণী বৈঠকে বলা হয়েছে, রেল সারা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যাগামী ট্রেন পাঠানো হবে। সেই ট্রেনে চেপে বুথস্তরের নেতাকর্মীদের অযোধ্যা যেতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবব, ট্রেনের টিকিটের ব্যয়ও দল বহন করবে।
তবে দলের ভাড়া নিতে চাইছেন অযোধ্যা যেতে চাওয়া বিজেপি নেতাদের একাংশ। তাঁদের মতে, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রামমন্দির তৈরি হয়েছে। তাই তাঁরা নিজেরা ভাড়া নিজেরাই দেবেন বলে সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন।
(পড়ুন । স্কাইওয়াক তৈরির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, পুনর্নির্মাণে KMC–কে ৫ কোটি দেবে সরকার)
বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘও
২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ২৪ জানুয়ারি থেকে রামমন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সঙ্ঘ পরিবারের পক্ষ থেকেও প্রতিটি রাজ্যের জন্য একটি করে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের ওই ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই বিশেষ ট্রেন ছাড়বে এবং মন্দির দর্শন করিয়ে দুদিন পর আবার তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে।
নিমন্ত্রণ অভিযান
রাম মন্দিরকে প্রচারে আনতে ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে’ নিমন্ত্রণ অভিযান’। দলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গ্রাম ও শহরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে রাম মন্দির দেখাতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ জানাতে। বিশেষ ট্রেনের যে ব্যবস্থা রয়েছে তাও প্রচার করতে বলা হয়েছে।
ট্রেনে পাশাপাশি প্লেনে করেও রাম মন্দির যাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিমান পরিষেবা হবে। আকাশপথে অযোধ্যার সঙ্গে জুড়ে যাবে কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর।