পুজোয় বেপরোয়া গাড়ি, বাইক রুখতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। তা সত্ত্বেও পুলিশের নজর এড়িয়ে চলছে গাড়ি, বাইকের রেষারেষি। ষষ্ঠীর পর অষ্টমীর ভোরে ফের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। দুটি বাইকের রেষারেষির জেরে মৃত্যু হল এক তরুণীর। দুরন্ত গতিতে চলা একটি বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম রোশনি খান (১৮)। আজ রবিবার অষ্টমীর ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়ার কামালগাজী উড়ালপুলের ওপরে। এছাড়াও আহত হয়েছে বাইক চালক যুবক। তার নাম আকাশ মণ্ডল। ওই যুবক দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: সারারাত প্যান্ডেল হপিং করে ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনা, পঞ্চমীতে হাওড়ায় পিষে দিল লরি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রোশনি বন্ধু আকাশের সঙ্গে বাইকে করে সপ্তমীর রাতে পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। পুজো দেখার পর ভোরে বাড়ি ফেরার সময় কামালগাজী উড়ালপুলের উপর দুর্ঘটনা ঘটে। পাশ দিয়ে অন্য একটি বাইক আকাশের বাইকে ধাক্কা মারে। তার জেরে মোটরবাইক থেকে ছিটকে উড়ালপুলের ডিভাইডারে গিয়ে পড়েন রোশনি। তাতে তার মাথায় গুরুত্ব চোট লাগে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পরেই তাকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই তরুণী বালিয়ার সাহাপাড়ার বাসিন্দা।অন্যদিকে, আকাশও পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পুজোয় বেপরোয়া গাড়ি, বাইক রুখতে কলকাতা পুলিশকে বিশেষ নির্দেশিকা দিয়েছে লালবাজার। তা সত্বেও এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ দিনভর এবং এমনকী পুজোর সময় রাতের দিকে পুলিশ থাকলেও। ভোরের দিকে পুলিশ তুলনামূলকভাবে কম থাকছে। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকের গতি স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। তবে দুজনে হেলমেট পড়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, ষষ্ঠীর রাতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ধীরাজ মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবকের। এছাড়াও আরও দুজন আহত হয়েছিল।জানা যায়, বাইপাসের দিক থেকে বারখোলা রোড ধরে সন্তোষপুরের দিকে প্রতিমা দেখতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সার্ভে পার্ক থানা এলাকার জোড়া ব্রিজের কাছে ধীরাজের মোটরবাইকটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এর পরে সেটি ডিভাইডারের উপরে উঠে যায়। তখন বাইকে থাকা তিনজন ছিটকে পড়েন। তাতে ধীরাজের মৃত্যু হয়।