প্রিয়াঙ্কা সরকার
গু” শব্দের অর্থ “ অন্ধকার “ , “রু “ যা অন্ধকার দূরীভূত করে ।
আক্ষরিক অর্থে আলোর পথে উন্মোচন। আধ্যাত্ম অবয়বে আপন বৌদ্ধিক সত্ত্বায় আত্মজ্ঞান লাভ। পাশ্চাত্ব রীতিতে “ অনুগামী “, আত্মনিবেদনের ষড়রিপুর মায়া মোহ আচ্ছন্ন থেকে বিচ্ছেদে সৃষ্টির আদর্শ গড়ন , এককথায় “সামগ্রিক শিক্ষা “।
অভিজ্ঞতা শিক্ষার প্রতিভূ স্বরূপ। প্রকৃতির অবয়বে নিত্য অনুভূতিবোধ ।চেনা জীবনের মরমী আলোচনা ।
শিক্ষা যা প্রথমে প্রাকৃতিক অবয়বে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পাঠ হিসাবে যথার্থ বলে মনে করা হয় – এ কথা রুশো স্বীকৃত । পরিবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ এই শিক্ষাকে প্রাধান্য দেন । কারণ প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা , অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আগে শিশু খোলা মনে জ্ঞান লাভ হয় ।পরে অবশ্য সেই শিক্ষা অভিজ্ঞতার সাথে কালের গতিতে পরিনতি লাভ করে , এককথায় সামগ্রিক শিক্ষার রূপান্তর ।
শিক্ষক জাতি গঠনের কারিগর স্বরূপ। মানুষ গড়ার কারিগর জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষাই আদর্শই হল শিক্ষা।
২০ শতকের গোড়ায় ,ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন উপলক্ষে ৫ ই সেপ্টম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয় ।বিশ্বের ইতিহাসে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসাবে পালিত হয় ।তামিলনাড়ুর এক দরিদ্র ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম । “বেদান্ত দর্শনের বিমূর্ত “ আলোচনার পূর্বপরিকল্পনা “ তাঁকে জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসাবে প্রতিষ্ঠা দেয় ।অধ্যাপনার জগতে তিনি বিশিষ্ট সম্মানলাভ করেন ।তাঁর কলমের নিবেদন “দ্য ফিলোজফি অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর “ , আবার “ দ্য রেন অফ রিলিজিয়ান ইন কন্টেম্পোরারি ফিলোজফি “ ,এক অনন্য মাত্রা দান করে । তাঁর মতে শিক্ষাই শিক্ষার্থীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে ।তবে একথা অনস্বীকার্য যে , জ্ঞান বিস্তৃত ও তার পরিধিও অপার । তাই শিক্ষা হল আত্মপ্রকাশের সামজ্ঞস্য সাধন, তাই এটাই সামগ্রিক শিক্ষা, সর্বাঙীণ বিকাশের এক অনন্য মাধ্যম ।এককথায় “ Integrated all round development of personality of the individual .