Titanic Menu Card: প্রকাশ্যে এল সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া টাইটানিকের মেনুকার্ড। কী কী ছিল বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীদের খাবার? টাইটানিকের মেনু কার্ড আজও বহু মানুষকে অবাক করে তুলবে। টাইটানিকের সফররত সকল যাত্রী কিন্তু সমান ছিলেন না তাদের মধ্যে বিভাজন ছিল। প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের মধ্যে বিভাজন ছিল যা মেনু কার্ডে স্পষ্ট।
১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পঞ্চম দিনেই শেষ হয়েছিল টাইটানিকের যাত্রা। জাহাজটিতে নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও শেষ নেই। এবার প্রকাশ্যে টাইটেনিকের সেই এলাহি মেনু কার্ড। দরজার একটা পাল্লাকে খুড়ুকুটোর মতো আকঁড়ে রয়েছেন নায়িকা। পাশে কোনও রকমে ভেসে রয়েছেন নায়কও। পরে স্পিডবোট এসে নায়িকাকে বাঁচালেও মাঝে অতল গভীরে তলিয়ে যান নায়ক। হলিউডের সেই বিখ্যাত টাইটানিক সিনেমার রোমাঞ্চকর দৃশ্য। শুধু গল্প তো নয়,ঘোর বাস্তব ঘটনা থেকেই তৈরি হয়েছিল সেই সিনেমা। ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পঞ্চম দিনেই শেষ হয়েছিল টাইটানিকের যাত্রা। আজও মানুষ ভুলতে পারেনি সেই দুর্বিষহ ঘটনাকে। জাহাজটিতে নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও শেষ নেই।
আর কেমন হয় যদি সেই বিলাসবহুল জাহাজের খাবারের হদিশ পাওয়া যায়? শুধু ভাবনা নয়, সত্যি মিলেছে বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ খাবারের খোঁজ। এবার প্রকাশ্যে টাইটানিকের সেই এলাহি মেনু কার্ড। অন্দরমহলের সজ্জা থেকে জাহাজের সৃজনশীলতা, সবেতেই ছিল টাইটানিকের অনবদ্য কারুকার্য। আর সেই জাহাজে খাবারের আয়োজনেও যে অভিনবত্ব থাকবে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ১১১ বছর আগের টাইটানিকের সেই মেনুকার্ডের ছবি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। জাহাজ ছাড়ার দিন থেকে দুর্ঘটনার আগের দিন পর্যন্ত মেনুকার্ডের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়।
জাহাজটির অন্যান্য বিষয়ের মতোই মেনুকার্ডেও ছিল বিশাল চমক। যদিও শ্রেণি অনুযায়ী খাবারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন প্রথম শ্রেণির প্রাতরাশে ছিল কুকি, মাছের ফিলে দিয়ে বিভিন্ন পদ কিংবা ডাম্পলিং। যা তৃতীয় শ্রেণিতে বদলে গিয়েছে ওটমিল আর দুধে।
ঠিক কী কী ছিল টাইটানিকের মেনুকার্ডে?
যাত্রা শুরুর পর থেকে টাইটানিকের সব শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য ছিল চিকেন কারি ,বেকড ফিশ, স্প্রিং ল্যামব, মটন ও রোস্টেড টার্কি। আর ছিল সকলের জন্য পুডিং। প্রথম শ্রেণীতে সফর করা যাত্রীরা পেতেন কর্নড বিফ, ভেজিটেবিল, গ্রিলড মটন চপ, কাস্টার্ড পুডিং, চিকেন আ লা মেরিল্যান্ড, গ্যালাইটাইন অফ চিকেন। প্রথম শ্রেণীর মতো অতটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীরা পেতেন গ্রিলড হ্যাম, ফ্রাইয়েড এগ, গ্রিড অক্স কিডনি,অ্যারমাউথ বলটারস, বাকহুইট কেক, ওটস, বয়েল হোমিনি মতো খাবার। সবচেয়ে খারাপ ছিল তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের মেনু কার্ড। তাদের জন্য ছিল আলু সেদ্ধ, রোস্টেড বিফ, রাইস স্যুপ, জ্যাকেট পটেটো, চিজ সহ ভাত পাউরুটি ও মাখন।
উল্লেখ্য, টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আগে শেষ লাঞ্চ-এর মেনু কার্ডকে সম্প্রতি নিলামেও তোলা হচ্ছে জানা গিয়েছে। যাতে প্রায় ৫০ থেকে ৭০মার্কিন ডলার দাম পাওয়া যেতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন
লোকসভা ভোটের প্রচারে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ করে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ…
মা উড়ালপুল দিয়ে বিপুল পরিমাণ গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। এটা শহরের ব্যস্ততম উড়ালপুল। এই উড়ালপুল…
প্রযুক্তি ব্যবহারের জেরে শহরে বেড়েছে ইলেকট্রনিক আবর্জনা। এটাকেই অনেকে ই–বর্জ্য বলে থাকেন। শহরের প্রায় প্রত্যেকটি…
রবিবার সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে পাঁশকুড়া ছাড়ে দিঘা লোকাল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হেঁড়িয়া ও…
উত্তরবঙ্গে এখন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কারণ পার্বত্য এলাকা–সহ পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি দেখা…
চোরা শিকারিদের হাতে খুন হলেন এক বনকর্মী। রাতে টহল দেওয়ার সময় হামলা চালায় এক দল…