মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে পূর্ত দফতরের সড়ক ফেরত চিয়ে চিঠি দিয়ে তাঁকে বেনজির আক্রমণ করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠির ছত্রে ছত্রে রয়েছে কটাক্ষ। তবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি নিয়ে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে ফেলা হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের চিঠিতে বিদ্যুৎবাবু লিখেছেন, আপনার নির্বাচিত এক উপাচার্য জেলে রয়েছেন। আপনার মন্ত্রিসভার ২ মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। আপনার বিশ্বস্ত কয়েকজন নেতা (তার মধ্যে কেউ বীরভূম থেকেই) জেলে রয়েছেন। কেউ আবার তিহাড়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্যুৎবাবু লেখেন, আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন।
গত মাসেই ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীই এই স্বীকৃতি পাওয়া বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে এখনও পঠনপাঠন হয়। এই স্বকৃতির পর বিশ্বভারতী চত্বরে একটি ফলক বসায় কর্তৃপক্ষ। তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। ফলকে কোথাও বিশ্বভারতীর প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথের নাম না থাকায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এই নিয়ে বিশ্বভারতীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বাকযুদ্ধেরই নতুন অধ্যায় রচিত হল রবিবার।
এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এত ইগোর কী আছে বুঝতে পারছি না। ভুল হলে সংশোধন করে নিলেই হল।’ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘বিশ্বভারতী নিজের ভাবধারায় চলুক। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য রবীন্দ্রনাথকে মুছে সেখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। এতেই আমাদের আপত্তি।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিদ্যুৎবাবুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আদর্শের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি দিল্লির বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য পদ পেয়েছেন। ফলক থেকে প্রধানমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া উচিত।’ বলে রাখি, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।