শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে ল্যাজে গোবরে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ভুয়ো শিক্ষক, অযোগ্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সেসব নিয়ে অভিযোগ জানাতে পর্ষদেই আসছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের যোগ্য শিক্ষকরা। আর অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের অভিযোগের কোনও জবাব নেই পর্ষদের কাছে। তাই এবার শিক্ষকদের অভিযোগ জানাতে পর্ষদে ঢোকার সময়সীমা বেঁধে দিল পর্ষদ। তাদের যুক্তি, অনেক শিক্ষকই পর্ষদে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি বলে সারা দিন স্কুলে থাকেন না। এই নিয়ে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল তাই এই সিদ্ধান্ত।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত পর্ষদে অভিযোগ জানাতে পারবেন শিক্ষকরা। দেখা করা যাবে আধিকারিকদের সঙ্গে।
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘অনেক শিক্ষক আউট স্টেশন কাজের কথা বলে সারাদিন স্কুলে গরহাজির থাকছিলেন। এই নিয়ে প্রধানশিক্ষকদের অনেক অভিযোগ পেয়েছি। ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’
যদিও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে শিক্ষকদের সংগঠন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। তাদের দাবি, কারও সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাদের দাবি, বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত ভিজিটিং আওয়ার হলে কোনও শিক্ষক পর্ষদের অফিস থেকে ফিরে ক্লাসে যোগদান করবেন কী করে? বরং যিনি সকালে কয়েকটি ক্লাস করিয়ে পর্ষদে আসার কথা ভেবেছিলেন তাঁকেও স্কুল বাদ দিয়ে হাজিরা দিতে হবে। ফলে আসলে এই সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রীদের কী উপকার সাধিত হবে তা দুর্বোধ্য।