[ad_1]
স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের নামে একের পর এক অভিনব দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছেন রাজ্যবাসী। ওদিকে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নীচে নিয়োগের দাবিতে ধরনা দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে আদালতে প্রকাশ্যে এল যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি না দেওয়ার আরেক ফন্দি। SSC-র সুপারিশপত্র জারি সত্বেও এক তরুণীকে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। সেজন্য আদালতে মিথ্যা হলফনামা দিতেও পিছ পা হয়নি তারা। কারসাজি ধরা পড়ে যাওয়ায় সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেছে আদালত।
মামলাকারী উমা প্রামাণিকের দাবি, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়ার শালতোড়া গার্লস স্কুলে যোগদানের জন্য তাঁকে সুপারিশপত্র জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পর বছর ঘুরলেও তাঁকে নিয়োগ দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব হলফনামা দিয়ে জানান, ওই প্রার্থীর তথ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দিচ্ছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই প্রার্থীকে যে সুপারিশপত্র জারি করা হয়েছে তাও পদ্ধতি মেনে জানানো হয়নি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবের দাবিকে নস্যাৎ করে SSC-র আইনজীবী বলেন, তাদের করণীয় সব কিছু করা হয়েছে। তার পরও প্রার্থী কেন নিয়োগ পাননি তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদই জানে। নিজেদের দাবির স্বপক্ষে সব রকম প্রমাণ পেশ করেন তিনি।
এর পরই আদালতে মিথ্যা হলফনামা দেওয়ায় SSC-র সচিবকে তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কেন তিনি আদালতে মিথ্যা হলফনামা দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁকে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে।