রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল। দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। গেরুয়া শিবিরে গিয়ে প্রার্থীও হয়েছিলেন। ভোটযুদ্ধে নেমে প্রাক্তন নেত্রীকে অভিযোগে বিদ্ধ করতে ছাড়েননি কেউই। তবে ভোট মিটে যাওয়ার পর তাঁদের ফের তৃণমূলে ‘স্বাগত’ জানালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলত্যাগীদের প্রতি এতটুকুও ক্ষোভ দেখালেন না মমতা। উলটে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরেও দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখালেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানে তাঁকে দলত্যাগীদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, “আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত”।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর মতো গুটিকয় নেতা এ বারের নির্বাচনে জয় হাসিল করতে সফল হয়েছেন। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শীলভদ্র দত্ত অথবা সব্যসাচী দত্তের মতো অধিকাংশ-ই ভরাডুবির মুখোমুখি হয়েছেন।
আবার ঠিক ভোটের আগে প্রবীর ঘোষাল, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, বৈশালী ডালমিয়া, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো ‘দলবদলু’ নেতারাও পরাজিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূলে থেকে কাজ করতে না পারা অথবা তৃণমূলের ভোট পরামর্শদাতা সংস্থা টিম পিকের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়েছিলেন বলেই দাবি করেছিলেন।