ঘরের কাছেই মিনি ডুয়ার্স
পাহাড়-জঙ্গলের সমাহার ডুয়ার্স। সেখানকার কথা মনে করলেই সকলের চোখে ভাসে জয়ন্তির পাড়ে বসে থাকা। রাতের অন্ধকারে হাতির ডাক। জঙ্গল সাফারি। কিন্তু তার জন্য লম্বা ছুটির প্রয়োজন। সবসময় সে ছুটি পাওয়াও যায় না। কিন্তু ডুয়ার্সের জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠলে কী করবেন। তাঁদের অনেকেই জানেন না ঘরের কাছেই রয়েছে মিনি ডুয়ার্স। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের থেকে কোনও অংশে কম নয় তার সৌন্দর্য। আর একদিনের ছুটিতেই বেড়িয়ে আসা যায় সেখান থেকে।
কোথায় আছে মিনি ডুয়ার্স
একেবারে ঘরের কাছেই রয়েছে মিনি ডুয়ার্স। হাওড়া জেলার এই জায়গাটির কথা অনেকেই জানেন না। যার রেলস্টেশনের নাম ঝালুয়ারবেড়। কলকাতা থেকে ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। হাওড়া থেকে আমতা লোকাল ধরলেই পৌঁছে যাওয়া যায় ঝালুয়াবেড়ে। স্টেশনে নামলেই বুঝতে পারবেন কেন তাকে বলা হয় মিনি ডুয়ার্স। ঝালুয়ারবেড় স্টেশনটি ঘিরেও একটি ইতিহাস রয়েছে। স্টেশনটি প্রথম তৈরি হয়েছিল ১৮৯৭ সালে। অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলে। ১৯৭১ সালে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে ২০০৪ সালে সেটি ৈতরি করা হয়েছিল।
নিরিবিলি পরিবেশে জঙ্গলের গন্ধ
ঝালুয়ারবেড় একটাই প্ল্যাটফর্ম। ট্রেন থেকে নামলেই ছবি তুলতে ইচ্ছে করবে। যারা সেলফি প্রেমি তাঁদের ছবি তোলার মোক্ষম জায়গা। স্টেশনের পরিবেশটা এতটাই সুন্দর যে দেখলেই মন ভাল হয়ে যাবে। দীর্ঘক্ষণ সেখানে বসে থাকতে ইচ্ছে করবে। চারপাশে কেমন একটা জঙ্গলের গন্ধ। শীতের সকালে ভেজাভেজা গন্ধে মন আরও ভরে যাবে। অনেকেই আবার একে ভুতুড়ে স্টেশন বলে থাকেন। স্টেশনে ভিড় নেই বললেই চলে। সেকারণে একটা গা ছমছমে বলে হয়।
কী দেখবেন
ঝালুয়ারবেড় স্টেশনের সৌন্দর্যই অসাধারণ। সারাদিন মনে হবে স্টেশনেই কাটিয়ে দিই। এতটাই সুন্দর এই স্টেশন। তবে দেখার জায়গাও রয়েছে এই ঝালুয়ারবেড়ে। স্টেশনের পাশেই রয়েছে একটা শিব মন্দির। গ্রামের দিকে এগোতে শুরু করলেই বেশ কিছু মন্দির চোখে পড়বে। কাছেই রয়েছে রামকৃষ্ণ বাটি। শিবকালী মন্দির। যার চূড়া দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের আদলে। সড়ক পথেও এই ঝালুয়ারবেড়ে যাওয়া যায়। শীতের দুপুরে স্টেশনেই একটা পিকনিক সেরে নিতে পরবেন।