ঘরের কাছেই অ্যামাজনের জঙ্গল
অ্যামাজনের জঙ্গলের কথা অনেকেই জানেন। সেই জঙ্গল বিশ্বের বৃহত্তম রেন ফরেস্ট। ব্রাজিলে মানুষ যান এই জঙ্গলের টানে। এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে একাধিক ছবিও তৈরি হয়েছে হলিউডে। সেই জঙ্গল হয়তো অনেকেই দেখে উঠতে পারেননি বা দেখেননি। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর সুযোগ করে দিয়েছে এই বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। কলকাতা থেকে বেশি দূরেও নয় এই জঙ্গলটি। মাত্র ১০০ কিলোমিটার পথ। এই অভয়ারণ্যে এলেই পেয়ে যাবেন অ্যামাজনের জঙ্গলে ঘোরার অনুভূতি।
বিভূতি ভূষণ অভয়ারণ্য
কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে এই অভয়ারণ্য। জনপ্রিয় বাংলা সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এই অরণ্যের নামকরণ করা হয়েছে। আগে এর নাম ছিল পারমাদন অভয়ারণ্য। জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে ইছামতি নদী। বিভূতিভূষণের বড় প্রিয় ছিল ইছামতি নদী। এই নদীর পাড়ে বসেই অনেক রচনা করেছিলেন তিনি। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে ঢোকার মুখেই রয়েছে সাহিত্যিকের একটি মূর্তি। এই অভয়ারণ্যে প্রবেশ মূল্য ১০০-১২০ টাকার মধ্যে। আবার অ্যামাজনের জঙ্গলের মতই ইছামতির দুই পাড় দিয়ে রয়েছে জঙ্গল। নদীপথেও এই জঙ্গল সফর করা যায়। শীতকালে প্রচুর পাখি আসে এই জঙ্গলে।
নীলকুঠি সাহেবদের বাড়ি
নীলকুঠি সাহেবদের কথা সকলেই জানেন। বিভূতি ভূষম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত বাড়িও রয়েছে এই এলাকাতেই। এই নীলকুঠি সাহাবেদের অত্যাচারের কাহিনী সকলেই জানেন। রয়েছে বনগাঁর কাছেই বারাকপুর গ্রামে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত ভিটে। সেটির সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। নীলকুঠিটির অবস্থা একেবারেই ভগ্ন প্রায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি প্রায় ভেঙে পড়েছে।
দেখে আসুন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত
এই জঙ্গল সাফারি সেরে বেড়িয়ে আসতে পারেন পেট্রোপোল সীমান্ত। ভারতের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এই পেট্রাপোল সীমান্ত। প্রতিদিন সূর্যডোবার আগে এখানে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাগিনীর প্যারেড হয়। ওয়াঘা সীমান্তের মত এলাহি কিছু না হলেও এই প্যারেড দেখার মত। সেই সঙ্গে েদশের সীমান্ত দেখার একটা আলাদা অভিজ্ঞতাও পাওয়া যাবে। ট্রেন বা সড়ক পথে বনগাঁ থেকে খুব কম সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই অভয়ারণ্যে।