ইডি-র সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে রাজ্যের কোনও তদন্ত ভার দেওয়া যাবে না। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে ফের আদালতে হাজির হলেন মিথিলেশ।
ইডি-র এই কর্তা নিয়োগ মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত দায়িত্বে ছিলেন। এজালাসেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁকে ভৎর্সনা করে বলেন, ‘আপনার আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। আপনি তদন্ত করতেই সক্ষম নন।’ এর বিচারপতি তাঁকে রাজ্যেক সমস্ত মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে আর্জি জানান, বিচারপতি যেন তাঁর নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করেন। নিয়োগ মামলায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলেও রাজ্যের অন্য মামলা থেকে তাঁকে যেন সরানো না হয়।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে অভিষেকের সম্পত্তির বিবরণ আদালতে দিয়েছিল ইডি। সিই বিবরণ দেখেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি মিথিলেশের কাছে জানতে চান, তিনি তদন্ত থেকে অব্যাহতি পেতে চান কিনা? বিচারপতি সিনহা ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি ওই রিপোর্ট নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিবরণে অভিষেকর সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম থাকলেও, ওই সংস্থা কেন তৈরি করা হয়েছিল সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি ইডি। বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করলেও সেই লেনদেন নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তদন্তকারী সংস্থা।
(পড়তে পারেন। মিছিলে নাজেহাল কলকাতা, কোনও হেলদোল নেই কারও, ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির)
বিচারপতি মিথিলেশ মিশ্রকে প্রশ্ন করেন,’এটা কি পোস্ট অফিস? কেউ কিছু এনে দিল আর আপনি প্রকাশ করে দিলেন। কার কত সম্পত্তি রয়েছে তার কিছুই দেখলেন না। টানেলে শেষে কবে পৌঁছনো সম্ভব?’
লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে আদালতকে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সংস্থার ডিরেক্টর কতজন, তাঁদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ, সংস্থার ক্লায়েন্ট কারা, সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সংস্থার কর্মীদের বিস্তারিত বিবরণ দিতে বলেন।
এর সঙ্গে কোম্পানির সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাবও দিতে বলেন।
২৫ সেপ্টেম্বর ইডি আদালতে তৃণমূল সাংসদের সম্পত্তি নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি। এর পর ২৯ সেপ্টেম্বর ইডি কর্তাকে রাজ্যের সমস্ত তদন্ত থেকে সরানোর নির্দেশ দেন।