প্রাথমিক তদন্তের গতিতে অখুশি বিচারপতি- প্রাথমিক নিয়োগের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই ও ইডির কাজে অখুশি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিং। যেভাবে সময় নিচ্ছে এই দুই সংস্থা, সেটা নিয়ে শুনানির সময় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। একই সঙ্গে তদন্তের মান নিয়েও তিনি সন্দিহান। যারা তদন্ত করছেন তারা কতটা যোগ্য, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। ইডির পেশ করা রিপোর্ট যে অসন্তোষজনক, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। টাকা পাচার ঠিক কীভাবে হয়েছে, সেটা বিস্তারিত ভাবে জানতে চান বিচারপতি। আগামী ১৪ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি।
কালীঘাটের কাকুর সাফাই-সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু জানিয়েছেন তাঁর সাহেবের নাম নিতে চাপ দিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থাগুলি। নিয়োগ দুর্নীতিতে বর্তমানে ইডির জেল হেফাজতে আছেন কালীঘাটের কাকু। তাঁর মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছে ইডি। এদিন ইডি জানিয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত। তাঁর ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। টাকার সূত্র জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তাদের দাবি। তবে কোনও বড় নেতার নাম দিতে যে ইডি জোর করছে না, সুজয়কৃষ্ণের এই দাবি নিশ্চিত ভাবেই ব্যতিক্রমী।
খাকি উর্দিতে সিভিক- গত কয়েকদিন ধরে ভাঙড় এমনিতেই সংবাদের শিরোনামে পঞ্চায়েত হিংসার কারণে। এবার সেই ভাঙড়েই খাকি উর্দিতে দেখা গেল দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট জানিয়েছে যে সিভিকদের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না ভোট নিরাপত্তার। তারপরেও তারা সেখানে কী করছিলেন, তাও আবার খাকি উর্দিতে এর উত্তর মেলেনি। ভাঙড়-১-এ মনোনয়নের সময় দেখতে পাওয়া এই দৃশ্য নিয়ে সরব বিরোধীরা। পুলিশ রাজ্যসরকারের দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ভাঙড়ের বিধায়কের। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে তারা এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
মুর্শিদাবাদে বিপাকে তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড- মুর্শিদাবাদ পুরসভা খাতায় কলমে তৃণমূলের হাত থেকে চলে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। ১৬ সদস্যের মধ্যে নয়জন চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এখানে তৃণমূলের ছিল নয়টি আসন, একটি নির্দল ও ছয়টি বিজেপি। এর মধ্যে বিজেপির তিনজন ও নির্দল তৃণমূলে চলে এসেছে। কিন্তু ১৩টি সদস্য থাকলেও এখন নয়জন অনাস্থা প্রকাশ করেছে। ফলে রীতিমত বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে নবাব পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্বই সম্ভবত এর নেপথ্যে।
জল অপচয় করবেন না- গল্ফগ্রীনের শীতলাখোলায় নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন চালু করলেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এর ফলে গল্ফগ্রীন ও সংলগ্ন এলাকার জলের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম অনুরোধ করেন যে কেউ জল নষ্ট করবেন না। জলকে পরিশুদ্ধ করতে অনেক খরচ হয় বলে তিনি জানান। পরিসংখ্যান দিয়ে ফিরহাদ বলেন যে প্রতিদিন ৫৪৫ গ্যালন জল লাগে শহরে, যেটা প্রয়োজনীয় পরিমাণের থেকে অনেক বেশি। মূলত জল নষ্টের কারণেই এই অতিরিক্ত পরিমাণ লাগে। কোনও যে জলের ট্যাক্স নেওয়া হয় না, সেই কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।