করোনা মহমারির জন্য পেনশনারদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, “পেনশনপ্রাপকদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার মেয়াদ আগামী ২০২১ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে”।মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানের সংবেদনশীল পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পেনশন বিতরণকারী ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় এড়ানোই এর অন্যতম লক্ষ্য”।তিনি আরও বলেন,”গত ১লা অক্টোবর থেকেই ৮০ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য একটি বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১লা নভেম্বরের মধ্যেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা কথা ছিল। পরে সেই সময় বাড়িয়ে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এবার তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল প্রায় দু’মাস।এমনিতে প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে নভেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। কিন্তু এ বার করোনা সংক্রমণ এড়াতে শারীরিক দূরত্ব বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় সেই মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্র।মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC)-এর সুবিধার্থে পেনশন এবং পেনশনার্স কল্যাণ বিভাগ ইন্ডিয়া পোস্টে পেমেন্ট ব্যাঙ্ক-কে অন্তর্ভুক্ত করার একটি অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তিনি জানান, পেনশনপ্রাপকদের বাড়ি থেকে ডিএলসি সংগ্রহের জন্য ১ লক্ষ ৮৯ হাজার পোস্টম্যান এবং গ্রামীণ ডাক সেবকের সাহায্য নিচ্ছে আইপিপিবি। এতে পেনশনপ্রাপকদের আরও সুবিধা হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।ডিএলসি-র প্রচারেও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পেনশন এবং পেনশনার্স কল্যাণ বিভাগ। বাড়ি থেকে ডিএলসি সংগ্রহের এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তাঁদের কাছে এ ব্যাপারে সুবিধার কথা তুলে ধরা হচ্ছে।ডিএলসি-র জন্য পেনশনপ্রাপককে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে সশরীরে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত হতে হয় না। আবার পেনশন বিতরণকারী সংস্থায় (ব্যাঙ্ক বা ডাকঘর ইত্যাদি) শারীরিক ভাবে ডিএলসি জমা দিতে হয় না, কারণ এটি একটি ডিজিটাল পদ্ধতি যা স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও প্রতিটি ডিএলসির নির্দিষ্ট একটি ‘জীবন প্রমাণ’ আইডি রয়েছে।তবে বাড়ি থেকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার অন্যান্য পদ্ধতিও রয়েছে। যেমন কোনো ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা মোবাইলে বায়োমেট্রিক ডিভাইস সংযুক্ত করে এই সুবিধা পাওয়া যায়।অনলাইনে ‘জীবন প্রমাণ’পোর্টালের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হন কেউ কেউ। বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনাও সে ক্ষেত্রে একটি বাড়তি ব্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কর্মীরা বায়োমেট্রিক যন্ত্র নিয়ে পেনশনপ্রাপকের বাড়িতে গেলে, সেই ঝক্কি থাকবে না।