দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন ঘটেছে এক সপ্তাহও হয়নি। এরই মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কবলে পড়ল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। ইতিমধ্যেই রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে বাঁকুড়া শহরে। আগামী ২-৩ দিন এমনই ভারী চলবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। ফলে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বাঁকুড়ায় ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর সিংহভাগ বৃষ্টিটাই পড়েছে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যেই। এত অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বাঁকুড়া শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জলস্তর বাড়ছে গন্ধেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বর নদীতে।
বাঁকুড়ায় সব থেকে বেশি বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের বাকি অঞ্চলেও প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। ক্যানিং এবং কাঁথিতে যথাক্রমে ৯১ এবং ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি অঞ্চলেও গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এই প্রবল বৃষ্টির পেছনে নিম্নচাপের সামান্য় একটু অবদান থাকলেও বৃষ্টিটা সম্পূর্ণ রূপে বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে অবস্থান করছে। সে সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডল দিয়েই এই জলীয় বাষ্প যাচ্ছে।
একই সঙ্গে, ওই নিম্নচাপটির কারণেই শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। ওই অক্ষরেখাটি দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়েই বিস্তৃত হচ্ছে। সে কারণে এই পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।