ল্যান্ড অফ ফলেন রকস
ল্যান্ড অফ ফলেন রকস। একেবারেই অফবিট নাম। নাম যেমন অফবিট জায়গাটিও তেমনইউ অফবিট। আপার মামরিংয়ে রয়েছে এই জায়গাটি। কার্শিয়াং থেকে দিরারাং হয়ে বাগুরা যাওয়ার পথে আপার মামরিং রয়েছে। এই জায়গাটিকে ফলেন রকস বলে থাকেন বাসিন্দারা। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে উঠে গিয়েছে রাস্তাটি। মেঘ-কুয়াশার খেলার মাঝে পাহাড়ের বুক চিড়ে ছুটে যাবে গাড়ি।
কেন এই নাম
ল্যান্ড অফ ফলেন রকস। হঠাৎ করে এমন নাম কেন। তার একটা কারণ রয়েছে। এখানে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যাবে যেখানে সেখানে বড় বড় পাথরের চাঁই। তাদের মাঝ দিয়েই গিয়েছে রাস্তা। ২০০৬-২০০৭ সালে এখানে বর্ষায় ধস নেমেছিল। সেসময় বড় বড় পাথর মামরিংয়ে নেমে এসেছিল। ধসে ৬-৭টি বাড়ি ধসের সঙ্গে খাদে চলে গিয়েছিল। বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীরা মন্দির তৈরি করে পুজো করেন। তারপর থেকে আর ধস নামেনি এখানে।
মামরিং গ্রাম
নীচে মামরিং গ্রাম। এখান থেকে চটকপুরও দেখা যায়। আপার মামরিং কিন্তু ছবির মত শহর। এখান থেকে ট্রেক করে মংপু পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যায়। ট্রেকের রাস্তা খুব কঠিন নয়। ট্রেকিংয়ের সময় ছোট ছোট ঝোড়া রাস্তায় দেখা যায়। তাতে ট্রেকিংয়ের মজা আরও বেড়ে যায়। মামরিং আসলে একটা সবুজ গ্রাম। এখানে অধিকাংশ পরিবারই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। সিটং থেকে এখানে আসা যায় কারণ মামরিংয়ে এখনও তেমন কোনও হোমস্টে পাওয়া যায় না।
ফুলের ভিড়
এই গ্রামে অনেক রকমের ফুলগাছ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ। দ্য ভিলেজ ওয়াক বললে যা বোঝায় সেরকম করতে গেলে মামরিং কিন্তু আদর্শ। আপার মামরিং গ্রামটির রাস্তায় ঘুরতেও ভাল লাগবে। অসাধারণ সেই ভিলেজ ওয়াক। সেকারণেই এই আপার মামরিং যেমন ল্যান্ড অব ফলিং রকস দেখার সুযোগ মিলবে তেমনই আপার মামরিং গ্রামের মত সুন্দর একটা গ্রাম দেখার সুযোগও মিলবে ।