গ্রেফতার করা হয়েছে নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ইডি গ্রেফতার করেছে আবগারি দুর্নীতি মামলায়। এই মামলায় তাঁকে ৯বার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। একবারও তিনি হাজিরা দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর সেই আর্জি খারিজ হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে এসে দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে আপ–সহ বিরোধী দলগুলি। এই নিয়ে পথে নামতেই দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন মন্ত্রী অতিশি এবং সৌরভ ভরদ্বাজ। গোটা বিষয়টি নিয়ে কড়া ভাষায় নিজের বক্তব্য পোস্ট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেননি। তিনি অপেক্ষা করছিলেন। যদি ইডি ছেড়ে দেয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কিন্তু সেসব হয়নি। তাই এবার গর্জে উঠলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই গোটা দেশে ব্যাপক আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে যুক্ত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গর্জন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কড়া ভাষায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি তীব্রভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দিল্লির জনগণের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী উনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছি সুনীতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে। অটুট সমর্থন এবং সমবেদনা জানিয়েছি। এটা অত্যন্ত আপত্তিকর একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ইডি– সিবিআইকে অসৎ আচরণ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে বাংলায় ইডি–সিবিআই অনেককেই নানা মামলায় গ্রেফতার করেছে। যদিও এখনও কাউকে দোষী সাব্যস্ত করেনি আদালত। আজ, শুক্রবারও ইডি বীরভূমে এসে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দেয়। আর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে এখন তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন আয়কর দফতর। সুতরাং বিজেপি বিরোধী দলগুলির সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে ইডি–সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আগেও অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তুললেন। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁদের সঙ্গেই এটা ধারাবাহিকভাবে করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের উপর নির্লজ্জ হামলা।’
আরও পড়ুন: দেবাংশু ভট্টাচার্যের ওয়ার রুমের নীচে চন্দ্রবোড়া সাপ! তমলুকে তোলপাড় কাণ্ড
এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি বড় পদক্ষেপও করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এক্স হ্যান্ডেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আজ আমাদের ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে কড়া আপত্তি তুলে ধরা হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করে বিরোধী দলগুলির নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যখন নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর করা রয়েছে। আমি সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং নাদিমুল হককে দায়িত্ব দিয়েছি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে।’ এখন দেখার এর শেষ কোথায়।
