প্রেমিকের আপত্তি অমান্য করেই জামাইবাবুর সঙ্গে চড়কের মেলা দেখতে গিয়েছিলেন প্রেমিকা। তাতেই চরম পদক্ষেপ করে বসলেন যুবক। অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি। আর প্রেমিকের আত্মহত্যার সেই দৃশ্য ভিডিয়ো কলে দেখলেন প্রেমিকা। এমনই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকায়। যুবকের এমন পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরের হস্টেলে আত্মঘাতী খড়্গপুরের পড়ুয়া, ছাত্রীর সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক তথ্য
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম দমন সরকার। তিনি গোয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় সোশ্যাল মাধ্যমে। এরপরে দুজনের মধ্যে প্রথমে বন্ধুত্ব ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি দুজনের পরিবারই জানত। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল দুজনের। এমন তাদের পরিবার বিয়েতে রাজি হয়েছিল। আজ রবিবার তাদের মধ্যে বিয়ের পাকা দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই চরম পদক্ষেপ করলেন যুবক।
পারিবারিক সূত্রের খবর, জামাইবাবুর সঙ্গে চড়কের মেলা দেখতে যেতে চেয়েছিলেন তরুণী। সে কথা তরুণী প্রেমিককে জানিয়েছিলেন। তাতেই সমস্যা ছিল যুবকের। পরিবারের দাবি, জামাইবাবুর সঙ্গে প্রেমিকার অবৈধ সম্পর্কের আশঙ্কা করেছিলেন যুবক। সেই কারণে তিনি প্রেমিকাকে জামাইবাবুর সঙ্গে মেলায় ঘুরতে নিষেধ করেছিলেন। তারপরই যুবক ফোনে প্রেমিকাকে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। আর তার ঠিক পরেই, আত্মহত্যা করেন যুবক। বাড়ির পিছনে একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা সময় যুবক প্রেমিকাকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন বলে দাবি পরিবারের। কারণ যে সময় মৃতদেহ উদ্ধার হয় তখন ফোনটি ভিডিয়ো কলরত অবস্থায় ছিল। তড়িঘড়ি যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ রবিবার পাকা দেখা করার কথা ছিল। মেয়েটি তার জামাইবাবুর সঙ্গে মেলা দেখতে যাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তারপরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দমন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এর পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
