পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পরেই জেলায় জেলায় দলবদলের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ব্লকের বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলে আগেই যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমের জয়ী প্রার্থী। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী যার ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের প্রার্থীকে ঘাসফুলে যোগ দিতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তবে দল বদলু প্রার্থী অবশ্য দাবী করেছেন, উন্নয়নের স্বার্থে তিনি তৃণমূলের পতাকা বেছে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একই আসনে জয়ী নির্দল-তৃণমূল, নন্দীগ্রামে শংসাপত্র বিভ্রাট ঘিরে বির্তক
বড়কলা ৭ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসনের সংখ্যা ৩০ টি। তবে গণনা শেষে জানা যায়, ওই পঞ্চায়েতে ১৪ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ১৩ টি, এছাড়া সিপিএম ১টি এবং নির্দল ২ টি আসন পেয়েছে। তবে পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সিপিএমের একমাত্র জয়ী প্রার্থী আফরোজা বেগম তৃণমূলের যোগ দেন। আর এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির টিকিটে জয়ী প্রার্থী তারা মাহাতো। এর ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ জন। ফলে বাকি ২ নির্দল প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থন করলেও সেক্ষেত্রে আসনের নিরিখে তৃণমূলই এগিয়ে থাকবে। শুধু ওই বিজেপি প্রার্থীই নন, দলের ১০০ জন কর্মী তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজয় হাজরা তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, বিজেপির জয়ী প্রার্থীর যোগদান প্রসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভয় দেখিয়ে বিজেপির জয়ী সদস্যকে ঘাসফুলে যোগ দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। তবে যারা এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে তারা আগামী দিনে পদ্মেই দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শঙ্কর গুচ্ছাইত।
যদিও দলত্যাগী জয়ী প্রার্থী তারা মাহাতো দাবি করেছেন, এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘শুধু এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই নয়, অন্যান্য জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধী দলের জয়ী সদস্যরা তৃণমূলের যোগ দেবেন। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলে থেকেই উন্নয়ন সম্ভব। এই অবস্থায় বিজেপি জমি ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।