আদাদলে SSC-র হলফনামায় প্রকাশ পেল নিয়োগ দুর্নীতির আসল চেহারা। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৬ সালে SSCর নেওয়া তিনটি পরীক্ষায় মোট ৮৬১১টি পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে এই দুর্নীতি হয়েছে। এব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্তব্য করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ঢোঁক গেলেন। তার পর বলে দেন, যা বলার SSC বলবে।
এদিন SSC হলফনামা দিয়ে আদালতে স্বীকার করেছে শুধুমাত্র ২০১৬ সালের পরীক্ষায় ৮৬১১টি পদে নিয়োগে কারচুপি হয়েছে। এর মধ্যে গ্রুপ ডিতে ২৮২৩টি OMR শিটে কারচুপি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭৪১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। যারা সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই OMR শিটে কারচুপি হয়েছিল। ১৪১ জন সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি।
গ্রুপ সি নিয়োগে ৩৪৮০টি OMR শিটে কারচুপি হয়েছে। তার মধ্যে ৭৮৫ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৮৩ জনের OMR শিটে কারচুপি রয়েছে। সুপারিশ ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন ৫৭ জন। এদের প্রত্যেকেই চাকরি করছেন।
নবম – দশমে শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি OMR শিটে কারচুপি হয়েছে। এদের মধ্যে ৮০৮ জন চাকরি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০৭ জনকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করেছে SSC. ৩৩ জন এখনও চাকরি করছেন।
একাদশ – দ্বাদশে ৯০৭টি OMR শিটে কারচুপি হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭১ জন চাকরি করছেন। র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি করছেন ৩৯ জন। এদের কাউকে বরখাস্ত করেনি SSC.
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, মূলত ৩ ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। ব়্যাঙ্ক জাম্প করে, বাতিল হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে নিয়োগ করে, OMR শিট কারচুপি করে। এছাড়া বেশ কিছু এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে যারা পরীক্ষায় বসেইনি।
এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এটা একটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার, আবার নিরবচ্ছিন্নও। ২০২১ সালে ভোটের পর অনেক কিছু বদলেছে। SSCর নতুন সভাপতি সব সংশোধন করার চেষ্টা করছেন। এব্যাপারে যা বলার SSC বলবে।’