কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে বিধি মেনে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা, সেখানে একসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, সিবিআই আধিকারিক-সহ প্রায় ৫০ জনের একটি দল সেদিন ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ পরিবারের। প্রায় একই অভিযোগ মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দেরও। আগাম নোটিস না দিয়ে কেন এই বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার?এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এসবের পর সোমবারই লালবাজারে সিবিআই টিমের বিরুদ্ধে রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দলের তরফে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এরপর চন্দ্রিমা আইন মেনে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করেন। তাতে ১৬৬ ধারা অর্থাৎ কোনও সরকারি প্রতিনিধির এমন কোনও আচরণ, যা অন্যের পক্ষে ক্ষতিকারক,তা প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা অর্থাৎ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক কাজ, এই ধারাও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহামারী আইনের (DM Act) ৫১ (বি) ধারা প্রযুক্ত হয়েছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে চন্দ্রিমার দায়ের করা এফআইআরে।