বর্তমানে বিহার, উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরপূর্ব বাদে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই বর্ষা অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেও যা বৃষ্টি হচ্ছে, সেটা স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের কারণেই, বর্ষার বৃষ্টি এখন খুব একটা হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতেই শীর্ষস্থানীয় এক আধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন যে ৮ তারিখ থেকে সক্রিয় হতে চলেছে বর্ষা। ১২ তারিখ, অর্থাৎ সামনের সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব মাধবন রাজীবন বলেন, “পূর্বমধ্য, দক্ষিণ এবং পশ্চিম উপকূলে আগামী ৮ জুলাই থেকে বর্ষার সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বিভিন্ন মডেল।” সেই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “১২ জুলাই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর প্রভাবে পরবর্তী সময়ে বর্ষা আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।”
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন থেকে বর্ষার অগ্রগতি পুরোপুরি থমকে গিয়েছে। ৩ জুন কেরলে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। এর পর মাত্র ১৬ দিনেই দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্যে ভারতকে পুরোপুরি নিজের দখলে এনে নেয় দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু। উত্তর ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলকেও নিজের কব্জায় নিয়ে আসার পর এক চুলও এগোয়নি বর্ষা।
দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিম রাজস্থানে বর্ষা ঢোকেনি। সাধারণত ২৯ জুন দিল্লিতে ঢুকে যায় বর্ষা। কিন্তু এ বার তার এখনও প্রবেশ না হওয়ায় প্রচণ্ড গরমের কবলে পড়ে দিল্লি। জুলাইয়েও তাপপ্রবাহের কবলে পড়তে হয় রাজধানীকে। পারদ উঠে যায় ৪৩-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রেকর্ড ঘেঁটে জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছরের মধ্যে সব থেকে দেরিতে দিল্লিতে ঢুকতে চলেছে বর্ষা। তবে মনে করা হচ্ছে ৮ জুলাইয়ের পর বর্ষা গতিপ্রাপ্ত হবে। তার পর খুব কম সময়ের মধ্যেই দেশের বাকি অংশেও ঢুকে যাবে ।