তৃণমূল বিধায়কের হাতে হাত রেখে কালীপুজোর উদ্বোধন করছেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োতে ব্যাপক বিবাদ বেঁধেছে হাওড়া জেলা সিপিএমে। দলের অন্দরে দুলু দাস নামে ওই মহিলা নেতৃর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে। যদিও দুলু দাসের দাবি, নিছকই সামাজিক সৌজন্যের খাতিরে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল থাকবেন তিনি।
কালীপুজোর সন্ধ্যায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে হাওড়ার সিপিমের মহিলা নেত্রী দুলু দাস হাওড়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী হাত ধরে প্রদীপ জ্বালিয়ে কালীপুজোর উদ্বোধন করছেন।
এই ভিডিয়ো দেখেই ছ্যাঁকা লাগে সিপিএম নেতাদের। শুরু হয় বিতর্ক। দুলু দাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানাতে থাকে দলের একাংশ। যদিও এসব বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান দুলু। তিনি বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে আমাকে প্রতি বছরই ডাকে। এবারও গেছিলাম। ওটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। ছবিতে যা দেখতে পাচ্ছেন তার বাইরে আর কোনও গল্প নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি অবিচল থাকব।’
তবে এই ঘটনায় দুলুর পাশে নেই দল। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি জানি না। তবে যা শুনছি তা যদি হয়ে থাকে তাহলে দল অনুমোদন করে না। আমরা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের বিরোধী নই। কোনও ধর্মের বিরুদ্ধেও নই। কালীপুজোয় বইয়ের স্টল করা যেতে পারে। কিন্তু পুজো উদ্বোধনের অনুমতি দেয় না দল।’
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের তুফান তুলেছে তৃণমূল। তা সে দুর্গাপুজো হোক বা রেড রোডে ইদের নমাজ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ধর্মকে অচ্ছুৎ করে সেই লড়াইয়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে সিপিএম। আপাতত তাদের অবস্থান গ্যালারির বাইরে বুক স্টলে। দুলু দাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে কি সিপিএম পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকে, না সময়ের দাবি মেনে নিয়ে অনুমোদন দেয় ধর্মারচণের স্বাধীনতাকে।