Tripura: ধলাই জেলার দুটি পৃথক স্থানে পাঁচ শিশুসহ ১৬ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, ধলাই জেলার পুলিশ সুপার অবিনাস রাই ইন্ডিয়া টুডে এনইকে বলেন, যে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ধলাই জেলার গন্ডাচেরা থানার পুলিশ মাস কুম্ভীর পাড়া থেকে তিন শিশুসহ ১১ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে।
তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তিন শিশুসহ ১১ বাংলাদেশিকে আটক করেছি। আমরা তাদের কাছ থেকে টিকিট, বাংলাদেশ সরকারের কোভিড টিকা দেওয়ার নথি এবং কিছু বাংলাদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেছি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানতে পেরেছি, তারা তিন বছর আগে কাজের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর ভারত-বাংলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর কাজের সন্ধানে বেঙ্গালুরুতে চলে যান তারা। সেখানে কয়েক বছর থাকার পর বাংলাদেশে ফেরার জন্য গত ৩০ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় পৌঁছান তারা।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ২ মে ট্রেনে ত্রিপুরার উদ্দেশ্য শিয়ালদহ থেকে রওনা দেয় তাঁরা। শুক্রবার আমবাসা রেলস্টেশনে নামার পর দালালদের সহায়তায় তারা দুটি অটোতে করে গভীর রাতে গন্ডাচড়ায় পৌঁছায়। গন্ডাচড়ার মাস কুম্ভীর পাড়ায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে রাত কাটান তারা। শনিবার তারা গন্ডাচড়া মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যেই তাদের পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, মহম্মদ মামুন সরদার (২৯), রুমা বেগম (২৫), আফসানা আক্তার (২২), মহম্মদ রাজিব হোল্ডার (২০), মহম্মদ মহারাজ শেখ (২৫), মহম্মদ চান মিয়া আকন (৩৬), মহম্মদ ফয়সাল আকন (১৮), মহম্মদ ফেরদৌস শেখ (৩০) ও তিনটি শিশু।
ধলাই জেলায় অন্য একটি অভিযানে ত্রিপুরা পুলিশ এবং সরকারী রেলওয়ে পুলিশ পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে, আমবাসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুই শিশুসহ পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে।
আমবাসা থানার অফিসার ইনচার্জ গুরুপদ দেবনাথ বলেন, “আমাদের কাছে আগে থেকে তথ্য ছিল যে কিছু বাংলাদেশী অবৈধভাবে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে এবং অন্য কোনো রাজ্যে যাওয়ার জন্য আমবাসা এসেছে। আমরা দুই শিশুসহ পাঁচ বাংলাদেশীকে আটক করেছি। তারা বাংলাদেশের বরিশাল জেলা থেকে এসেছিল এবং কাজের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছিল।”
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়