নয়াদিল্লি : যন্তরমন্তরে বিক্ষোভরত কুস্তিগীরদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সংসদীয় কমিটিকে চিঠি দিল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং নারী ও শিশু কল্যাণ, শিক্ষা, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সুস্মিতা দেব কমিটির চেয়ারম্যান বিবেক ঠাকুরকে এই চিঠি দিয়েছেন। তাঁর দাবি অবিলম্বে একটি বৈঠক ডেকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হোক।
বিবেক ঠাকুরকে দেওয়া চিঠিতে সুস্মিতা দেব উল্লেখ করেছেন, আন্দোলনরত কুস্তিগীররা দেশের গর্ব। উদাহরণ হিসেবে ২০১৮ সালে মি টু আন্দোলনের কথা তুলে ধরেছেন সুস্মিতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল।
তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, সড়ক পরিবহন নীতিন গড়করিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন সুস্মিতা। অবিলম্বে কমিটির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যে সমস্ত কুস্তিগীরেরা আন্দোলন করছেন, আমাদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷ তাঁরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলছেন৷ আমাদের দেশের ক্রীড়াবিদেরা আমাদের গর্ব৷ ওঁরা চ্যাম্পিয়ন৷ রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক, যে অপরাধী, তাঁর অবশ্যই সাজা হওয়া উচিত৷ বিচার হওয়া উচিত৷ সত্যের জয় হওয়া উচিত৷’
কুস্তিগীরদের সমর্থনে ইতিমধ্যেই গলা তুলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কপিল দেব, অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া, সানিয়া মির্জা এবং নভজোত সিং সিধু। নীরজ চোপড়া একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘ন্যায় বিচারের দাবিতে আমাদের দেশের ক্রীড়াবিদদের এভাবে রাস্তায় নামতে দেখে দুঃখ হচ্ছে। আমাদের মহান দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এবং বিশ্বমঞ্চে আমাদের গর্বিত করতে তাঁরা অনেক পরিশ্রম করেছেন।’