#কলকাতা: নিজেকে কেরিয়ারে সুপ্রষ্ঠিত করতে সকলেই উচ্চ শিক্ষা করতে চান। আর উচ্চ শিক্ষা যদি বিদেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হয় তাহলে তো কোনও কথাই নেই। চাকরি জীবন অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে। দেশে চাকরির পাশাপাশি বিদেশের বহু সংস্থায় চাকরি পেতে অনেক সুবিধা হয়। এমনকী, বিদেশে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে এলে তাঁদের ক্ষেত্রেও উচ্চপদে চাকরি পেতে খুব সুবিধা হয়। কিন্তু বিদেশে পড়ার জন্য বিপুল খরচা কোথা থেকে আসবে? রইল যাবতীয় তথ্য-
কোভিড ১৯-এর কারণে এ দেশ থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সদিচ্ছা যে কমেছে এমনটা নয়। চলতি বছর জানুমারি মাসে একটি তথ্য প্রকাশ হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে ২০১৯-২০২০ বছরের তুলনায় এবছর অন্য দেশ থেকে ভারতে পড়তে আসার জন্য আবেদনপত্র জমা ১০ শতাংশ বেড়েছে। বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য বেশ অর্থ সঞ্চয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলি মেনে চললে খুব সহজেই অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব।
সেল্ফ ফিনান্সিং-
Opendoorsdata.org-এর প্রকাশিত একটি তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮৫ শতাংশ পড়ুয়া বিদেশে পড়তে যেতে পছন্দ করেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পরিবারের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেন। কিন্তু অনেক সময় তা ঝুঁকির কারণ হয়ে ওঠে। কারণ পরিবারের কোনও প্রয়োজনে অর্থ প্রয়োজন হলে তা পেতে সমস্যা হয়। সে কারণে প্ল্যান B রাখা প্রয়োজন। যেখানে অন্য কোনও ক্ষেত্র থেকে টাকা নিয়ে তা বিদেশে পড়াশোনার কাজে ব্যায় করা যাবে।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা অর্থলগ্নি সংস্থার তরফ থেকেও বিদেশে পড়ার জন্য লোন দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের সম্পত্তি দেখিয়ে লোন পাওয়া সম্ভব। এবং সাধারণত পড়া শেষ করার ছ’-মাসের মধ্যে লোন শোধ করা শুরু করতে হয়। এবং সাত বছরের মধ্যে লোনের পুরো অর্থ শোধ করতে হয়।
তবে এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক এবং অর্থলগ্নি সংস্থার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। পড়ার খরচের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ টাকা লোন হিসেবে দেয় ব্যাঙ্কগুলি, সেক্ষেত্রে অর্থলগ্নি সংস্থার তরফে ১০০ শতাংশ লোন পাওয়া সম্ভব।
পাশাপাশি বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থা কোনও সম্পত্তির কাগজ জমা না রেখেও লোন দেয়। তারা শুধুমাত্র পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে।
ইন্টারন্যাশনাল ফিনানসিয়াল ইন্সটিটিউশন-
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফেও বিদেশে পড়ার জন্য লোন দেওয়া হয়। তারা মূলত বৈদেশিক মুদ্রায় লোন দেয়। এর জন্য পরিবারের বা নিজের সম্পত্তির কাগজ জমা রাখার প্রয়োজন হয় না।
SIP ইনভেস্টমেন্ট
কারও যদি কয়েক বছর পর বিদেশে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে SIP বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান চালু করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমিয়ে ইনভেস্ট করলে নির্দিষ্ট সময় পর যে সঞ্চিত অর্থ পাওয়া যাবে তা বিদেশে পড়ার জন্য খরচ করা যাবে।
Tags: Education, Money