জাতীয় সংগীত অবমাননার মামলায় এবার আরও বিপাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বম্বে হাইকোর্ট রেহাই না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার মামলায় পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। মুম্বইয়ের ক্যফে প্যারেড থানার পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পিআই মোকাশি। এমনকী তদন্তের স্বার্থে মুম্বই পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জেরা করতে পারবে বলেও জানিয়েছেন বিচারক।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশ অনুসারে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। আদালত স্বার্থে, তদন্তের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রেকর্ড করার প্রয়োজন হলে তাঁকে তলব করতে পারবেন পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযুক্তের বক্তব্য ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণসহ জমা দিতে হবে রিপোর্ট। জাতীয় স্মারকের অবমানা প্রতিরোধী আইনের ৩ নম্বর ধারায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিচার চলবে বলে জানিয়েছে আদালত।
২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত। তাঁর দাবি, ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত শুরু হওয়ার পরেও বসে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে জাতীয় সংগীত শেষ হওয়ার আগেই অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এই মামলায় গত বছর ২ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। গত ২৯ মার্চ মমতার আবেদন খারিজ করে এই ঘটনায় তদন্ত জারি রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তার পরদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বলে রাখি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা হতে পারে। যার ফলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদ চলে যেতে পারে। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষের পর আরও ৬ বছর ভোটে লড়তে পারবেন না তিনি।