ভারত প্রকাশ্যে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে চলে গেল বড় টার্ন। ইজরায়েলের মুখোশ বিশ্বের সামনে খুলেই দিল ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যা ঘটে গেল তার বড় ইমপ্যাক্ট পড়বে। তবুও দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে পারবে না তেল আভিভ। ইজরায়েলের কি কোথাও একটা হাত পা বাঁধা?রাশিয়ার সঙ্গে বড় মিল পাওয়া যাচ্ছে তেল আভিভের, অনেকের এমনটাই মত। এবার কিন্তু ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারত এমন কোন কাজ করে দিল? তা সত্ত্বেও নেতানইয়াহু হয়ত এ নিয়ে কোনও স্টে পনিতে পারবেন না ভারতের বিরুদ্ধে।যুদ্ধের শুরুর দিকে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও গাজা সহ প্যালেস্তাইনের একাধিক জায়গায় যে নির্মমতা, বর্বরতা চলছে রোজ তার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে ভারত। তবে এবার একেবারে নেতানইয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট। হ্যাঁ ভোট, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত দিয়েছে ইজরায়েলের বিপক্ষে গিয়েই ভোট। যা দেখে ভারতের বিরোধী দলগুলোর মুখ কিন্তু কার্যত বন্ধ। তারা বারাবার সমালোচনা করেছিলেন মোদীর ইজরায়েল নীতি নিয়ে। কিন্তু এবার শুধু বিরোধী নয় গোটা বিশ্বের সামনে আরও একবার জলের মতো প্রমাণ হয়ে গেল ভারত আসলে কার পক্ষে, কোন পক্ষে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে পূর্ব জেরুজালেম ও অধিগৃহীত সিরিয়ান গোলান সহ প্যালেস্তাইনের অঞ্চলে বসতি স্থাপন নামক একটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয় ভারত সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের মট ১৪৫টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয়। বিরোধিতা করে মাত্র সাতটি দেশ- আমেরিকা, কানাডা, হাঙ্গেরি, ইজরায়েল, মার্শাল আইল্যান্ড, নাউরু ও মাইক্রোনেশিয়া। ১৮টি দেশ ভোট দান থেকে বিরত থাকে। সহজ ভাষায় বললে প্রস্তাব এটাই ছিল যে পূর্ব জেরুজালেম ও অধিগৃহীত সিরিয়ান গোলান সহ প্যালেস্তাইনের অঞ্চলে ইজরায়েল জোর করে বসতি স্থাপন করেছে। তাতে ভারত ভোট দিয়ে সম্মতি জানায়। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে দিল্লি আগের অবস্থানেই অনড় থেকে। এটা বিশ্বাস করে প্যালেস্টাইনের জমি জোর করে দখল করে তাতে বসতি স্থাপন করেছে ইজরায়েল।
প্রশ্ন হল এই যে প্রকাশ্যে ইজরায়েলর বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিল ভারত এর ইমপ্যাক্ট দিল্লি-তেল আভিভের সম্পর্কে কতটা পড়বে? ইজরায়েল কী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিগড়ে দিতে পারে? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি ভবিষ্যতে কার বিদেশনীতি কোন পথে যাবে সেটা কেউ জানে না তবে ইজরায়েল ভারতের বিরুদ্ধে যাবে এই সম্ভাবনা কার্যত কম। মনে রাখতে হবে ভারত যা করেছে যে স্ট্যান্ড নিয়েছে সেটা নতুন কিছু নয় ভারত আগেও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের পক্ষে ছিল। ভারত এখনও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের পক্ষে। তবে এর জন্য কোনও হিংসা, হামলা, যুদ্ধের পক্ষে দিল্লি নয়। তাই ইজরায়েলের কোনও ধরণের বিরোধিতা করার হলে তখনই করতেন। নেতানইয়াহু যখন এবারের যুদ্ধে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল যে ভারত কিন্তু নীতি বদলায় নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্তর্জাতিক স্তরে এই বার্তাটাও দেওয়া দরকার ছিল যে ভারত ইজরায়েলের জবরদখলের নীতিকে কোনওভাবেই সমর্থন করে না। এবার দেখার তেল আভিভ এ নিয়ে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয় কিনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়