শহরের বা বলা ভাল শহরবাসীর মত আদান-প্রদানের মন্ঞ্চ ‘কলকাতা স্পিকস’র প্রথম আলোচনাসভা আয়োজিত হল সম্প্রতি। শহরের প্রখ্যাত ফুড চেন আউটলেট ‘রেড ব্যাম্বু শুটের’ গড়িয়া শাখায় এক মনোজ্ঞ পরিবেশে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় এক ঘরোয়া আড্ডায় জমে উঠেছিল আলোচনাসভা। ‘কলকাতা স্পিকস’র প্রথম আলোচনাসভা তাও আবার ‘কাস্টিং কাউচের’ মতন অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় স্বাভাবিকভাবেই উদ্দীপনার পারদ ছিল তুঙ্গে। মন্ঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা কি বলেন ? রায় দেন বিষয়ের পক্ষে না বিপক্ষে সেদিকেই নজর ছিল সকলের। মন্ঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা সকলেই একসাথে মত দিলেন ‘কাস্টিং কাউচের ‘ মতন বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বড় করে ‘না’ বলতে অবশ্যই শিখতে হবে কারন ট্যালেন্টই পারে একজন শিল্পীকে দীর্ঘমেয়াদি স্বীকৃতি দিতে। কথায় কথায় উঠে এল প্রাচীন সময় থেকেই সমাজে উপস্থিত এই ‘কাস্টিং কাউচ’ নামক রোগটির কথা যা সময়,যুগের বদলের সাথে সাথে নিজের ‘রুপকে’ও বদলেছে। আগেকার দিনে রাজা, মহারাজা,জমিদারদের কাছে উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো হয় নর্তকীদের যাদের নাচ রাজার মনে ধরলেই পুরস্কার স্বরুপ নানা বহুমূল্যবান জিনিস তো ছিলই পাওয়া যেত বিভিন্ন বড় বড় আসলে ডাক। পরবর্তীকালে আসে মডেলিং পেশা । যেখানে অনেকেই নিজেদের অযোগ্যতাকে ঢাকতে বেছে নিতেন ‘শর্টকাট’ পথ যা শুধুমাত্র তাদের বিপদ ডেকে আনতো তা শুধু নয় ,যোগ্যতাসম্পন্ন মডেলদেরকেও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাড়াতো এই ‘কাস্টিং কাউচ’ নামক ‘মারনব্যাধি’। আগে পরিচালকদের সঙ্গে অভিনেত্রী অভিনেতাদের থাকত আত্মিক সম্পর্ক এখন তা এই ‘কাস্টিং কাউচ’ নামক ক্যান্সারের কারনে প্রায় বিলুপ্তপ্রায় বললেই চলে। তাই ‘মিলে সুর মেরা তুমহারার’ স্পিরিটেই ‘কলকাতা স্পিকস’র মন্ঞ্চ থেকে ‘কাস্টিং কাউচকে’ রেড কার্ড দেখিয়ে বড় করে ‘না’ বলার জন্য তদ্বীর করলেন :-
∆ সুজয় বিশ্বাস (সিইও,টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ)
∆ মৌবনী সরকার (চিত্রশিল্পী,টলিউড ডিভা)
∆ অনিন্দিতা সরকার (অভিনেত্রী)
∆ দেবদূত ঘোষ (অভিনেতা)
∆ শঙ্কর রাই (প্রধান,রেড ব্যাম্বু শুট )
∆ সুযোগ বন্দোপাধ্যায় (লেখক)
∆ শর্মিলা মাইতি (সেলিব্রিটি সাংবাদিক)
∆ অন্জ্ঞন কর (সেলিব্রিটি কোরিওগ্রাফার)।