রাজস্থান: নিষ্ঠা আর একাগ্রতা কত দুরূহ কাজকেই সহজ করতে পারে। যে কোনও বিষয়ে আগ্রহ আর সৎ চেষ্টা থাকলে তাতে সাফল্য লাভ করা সম্ভব। একথা আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন রাজস্থানের এই যুবক। রাজস্থানের নাগৌর জেলার বজরঙ্গ সাংওয়ার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে তাঁর লক্ষ্য পর্যন্ত।
নাগৌরের ভাওয়াদ গ্রামের বাসিন্দা বজরঙ্গ সাংওয়া পরিবারের সব থেকে ছোট ছেলে। তাঁর সাত দিদি রয়েছে। ছোট থেকেই নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে একের পর এক চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বজরঙ্গ। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে যুক্ত হতে।
সব কিছু ছেড়ে এই লক্ষ্যেই তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আর আজ তিনি শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার পদে কাজ করছেন। বজরঙ্গ সাংওয়ার বাবা একজন কৃষক। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের সফল সন্তান বজরঙ্গ। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তাঁর পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ দেখে যথাসম্ভব সাহায্য করেন তাঁর বাবা-মা।
আরও পড়ুন: গঙ্গোত্রীতে ভয়াবহ তুষারপাত! দেখুন বরফের মাঝে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য
বজরঙ্গ বলেন, ‘আমি একের পর এক অনেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। অনেক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, আমি সব চাকরি ছেড়েছি।’ প্রতিযোগিতার বাজারে যখন যুব সম্প্রদায় চাকরির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে, তখন বজরঙ্গ একের পর এক রাজস্থান পুলিশ, ব্যাঙ্ক, আয়কর-সহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেছেন আর সফলও হয়েছেন। সব থেকে মজার কথা হল, বজরঙ্গ সাংওয়া আজ পর্যন্ত যত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেছেন, কোনটিতেই অসফল হননি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে কাজ করার। এই একটাই লক্ষ্য স্থির করে বজরঙ্গ প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন।
আরও পড়ুন: কেদারনাথে রেকর্ড তুষারপাত! সতর্ক করা হল তীর্থযাত্রীদের, দেখুন ভিডিও
বজরঙ্গ সাংওয়া জানান, শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজার পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বহু চাকরির ডাক পেলেও যোগদান করেননি। তবে এর আগে তিনি ‘সশস্ত্র সীমা বল’-এ সহকারি কমান্ড্যান্ট হিসেবে ৬ মাস কাজ করেছিন। ২০১৩ সালে, রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রথম পত্রের পরীক্ষায় নির্বাচিত হন। এরপর তিনি হনুমানগড়ের শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে নাগৌরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
Tags: Rajasthan