গতবছরের শেষ দিনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক বিমানবন্দর কর্মী। এক বিমানের ইঞ্জিনের টানে মৃত্যু হল তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার আলাবামার মন্টগমেরি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে। মৃত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে। আমেরিকার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের সাবসিডিয়ারি সংস্থা ‘পাইডমন্ট’-এর কর্মী ছিলেন।
মার্কিন সংবাদসংস্থা সিবিএস নিউজ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডালাস থেকে আলাবামায় আসা একটি বিমান দাঁড়িয়েছিল মন্টগমেরি বিমানবন্দরে। বিমানটি এনভয় এয়ার সংস্থার দ্বারা পরিচালিত ছিল। দাঁড়িয়ে থাকলেও বিমানের একটি ইঞ্জিন তখনও চলছিল। এনভয় এয়ার সংস্থাটিও আমেরিকান এয়ারলাইন্সের সাবসিডিয়ারি। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত বিমানটি এম্ব্রয়র ১৭০ মডেলের ছিল। ঘটনাটি ঘটে ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর তিনটের সময়। এদিকে ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল আলাবামার বিমানবন্দর।
পাইডমন্টের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘আমারা আমাদের সহকর্মীর আত্মার শান্তির প্রার্থনা কছি। সহকর্মীর পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।’ এদিকে আলাবামা বিমানবন্দরে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়েড এ ডেভিস এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাইডমন্টের এক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে মৃত কর্মীর পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
উল্লেখ্য, একটি বিমানের ইঞ্জিনের এত শক্তি থাকে যে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যেকোনও কিছু টেনে নিতে পারে সেটি। এর জন্যই দাঁড়িয়ে থাকা কোনও বিমানের ইঞ্জিন যদি চালু থাকে, সেই ক্ষেত্রে সেটির আশেপাশে ট্রাফিক কোন বসিয়ে রাখা হয় বিপদসীমা নির্দেশ করার জন্য। সাধারণত, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফরা এইসব বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকেন। এই আবহে কীভাবে এক বিমানবন্দর কর্মী এই ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দুর্ঘটনায় কোও পক্ষের গাফিলতি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
