আজ, রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেডের ‘জনগর্জন’ সভা থেকেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে, কোথায় কারা প্রার্থী হচ্ছেন। ৪২টি আসনের কোনওটিতেই খামতি রাখতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই একাধিক পরীক্ষিত নেতাদের লড়াইয়ের ময়দান থেকে বসানো হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ ফল করা ১১ জন বিধায়ককে এবার প্রার্থী করা হয়েছে সাংসদ পদের জন্য। ব্রিগেড থেকে প্রার্থী তালিকা আগে কোনও রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেনি। এটা রাজ্য–রাজনীতির আঙিনায় অত্যন্ত অভিনব। মানুষ নিজে কানে শুনে গেলেন তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। এলাকায় গিয়ে তা নিয়ে চর্চা করবেন তাঁরা।
এদিকে হাজি নুরুল ইসলাম কিংবা পার্থ ভৌমিকদের মতো নেতারা এবার সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আবার কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সদ্য ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী মাস্টারমশাই নির্মলচন্দ্র রায়কেও জলপাইগুড়ি থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে। এমনকী দু’দিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীও টিকিট পেয়েছেন সাংসদ হিসাবে লড়াই করার জন্য। আর দলের তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া এবার দিল্লির রাজনীতিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন পেয়েছেন লোকসভার টিকিট।
আরও পড়ুন: ‘১১ লক্ষ বাড়ি আমরা করে দেবো’, ব্রিগেড থেকে মোদীকে ডেডলাইন দিলেন মমতা
অন্যদিকে বিজেপি এখনও গোটা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। প্রথম দফায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে বিতর্ক তৈরি হয়। বাধ্য হয়ে নাম সরিয়ে নিতে হয়েছে পবন সিংয়ের। সুতরাং সেই প্রার্থী তালিকা দাঁড়ায় ১৯ জনের। সেখানে তাঁদের এখন ২৩ জনের নাম ঘোষণা করতে হবে। আর একধাক্কায় ৪২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে এখন বিধানসভার ১১ জন সদস্যকে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ১১ জন প্রার্থীই লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব নিলে রাজ্য বিধানসভা থেকে ১১ জনের আসন খালি হবে। তখন ওই শূন্য বিধানসভা আসনগুলিকে পূরণ করতে আবার উপনির্বাচনের প্রয়োজন হবে।
এছাড়া মালা রায়, শতাব্দী রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, সৌগত রায় এবং মহুয়া মৈত্ররা টিকিট পাচ্ছেন। যা ঘোষণা করলেন অভিষেক। তাছাড়া বিধায়ক থেকে সাংসদের টিকিট পাওয়া নেতারা হলেন—জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া, সিতাইয়ের বিধায়ক, নির্মলচন্দ্র রায়, ধূপগুড়ির বিধায়ক, কৃষ্ণ কল্যাণী, রায়গঞ্জের বিধায়ক, মুকুটমণি অধিকারী, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক, পার্থ ভৌমিক, নৈহাটির বিধায়ক, উত্তম বারিক পটাশপুরের বিধায়ক, বিপ্লব মিত্র হরিরামপুরের বিধায়ক, বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁর বিধায়ক, হাজি নুরুল ইসলাম হাড়োয়ার বিধায়ক, জুন মালিয়া মেদিনীপুরের বিধায়ক এবং অরূপ চক্রবর্তী তালডাংরার বিধায়ক।