উল্লাসনগর: ১২ বছর বয়সী বোনের প্রথমবারের জন্য পিরিয়ড হয়েছে৷ রজস্বলা বোনের জামায় রক্তের দাগ দেখে আসল কারণটা বুঝতে পারেননি দাদা৷ আর তাতেই ঘটে গিয়েছে মারাত্মক ঘটনা৷ মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে সব মহলে শুরু হয়েছে নিন্দা৷ এমনও হতে পারে, কল্পনা করতে পারছেন না কেউই৷
মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরে দাদা ও বৌদির সঙ্গে থাকত ১২ বছরের মেয়েটি৷ একদিন তাঁর জামায় হঠাৎই রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁর দাদা৷ আর তাতেই মাথায় রক্ত চড়ে যায় দাদার৷ তিনি জানতে চান, কেন এই রক্তের দাগ৷ স্বাভাবিক কারণে, রক্তের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি সেই বালিকা৷ কারণ, সে জানত না কেন তাঁর শরীর থেকে রক্ত বার হচ্ছে৷ তাতেই আরও সন্দেহ বাড়ে, শুরু হয় অত্যাচার৷
আরও পড়ুন: তিনশো টাকা কেজি, হাত দেওয়াই দায়! হঠাৎ কেন এতটা বেড়ে গেল আদার দাম?
আরও পড়ুন: খালি গলায় নেপালি যুবকের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত! পাহাড়ি টানে কবিগুরুর গান মুহূর্তে ভাইরাল নেটপাড়ায়
পুলিশ মারফত খবর এসেছে, দাদার সন্দেহ ছিল, তাঁর ১২ বছরের বোন কারওর সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে৷ আর তাতেই রক্ত মাথায় চড়ে গিয়েছিল তাঁর৷ সেই কারণে বোনকে কয়েকদিন ধরে শারীরিক ভাবে অত্যাচার শুরু করে দাদা৷ গরম লোহার রড দিয়ে গায়ে একাধিক স্থানে ছ্যাঁকা দিতে থাকে৷ একদিকে পিরিয়ডের যন্ত্রণা আর তার পর এই অত্যাচার, তিন দিন ধরে তীব্র কষ্ট কোনওরকমে সয়েছিল সেই বালিকা৷ তারপর সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে৷
নিস্তেজ হয়ে পড়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ওই বালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে মৃত্যুর পর খবর দেওয়া হয় পোস্টমর্টেম করার জন্য৷ সেখানেই দেখা যায়, শরীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে পোড়া ও ছ্যাঁকার দাগ৷
এর পর পুলিশ ডেকে পাঠায় দাদাকে৷ দাদা সেই সময় বলেন, তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর বোনের কারওর সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তাই তিনি উচিত শিক্ষা দিতে চাইছিলেন৷
ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওয়কাবিহাল মহলে৷ নারী শরীরের পিরিয়ড নিয়ে সাধারণ স্তরে এখনও কতটা অজ্ঞনতা রয়েছে, তা নিয়ে স্বর তুলেছেন অনেকেই৷ পাশাপাশি, এ ভাবে অত্যাচার করারও তীব্র বিরোধিতা করেছেন৷ স্বাভাবিক ভাবেই এখন দাদার চরম শাস্তি চাইছেন সকলে৷
Tags: Crime