ব্যারাকপুর–জগদ্দল–টিটাগড়। এই এলাকাগুলিতে বোমাবাজি, শুটআউট, খুন, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে। আর তা নিয়ে দ্বিমত তৈরি হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের মধ্যে। ফলে অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুর সাব ডিভিশনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাইভোল্টেজ সাংগঠনিক বৈঠক হতে চলেছে। যাতে তাল ছন্দে ফেরানো যায়, তাই এমন বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক কাজকর্ম কতদূর এগিয়েছে সেটাও বুঝে নেওয়া হবে এই বৈঠক থেকে।
কবে হবে এই বৈঠক? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ২ জুন এই হাইভোল্টেজ বৈঠক হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন অর্জুন সিং, সৌগত রায় থেকে শুরু করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিক–সহ শাসকদলের ১৪ জন বিধায়ক এবং ১৩টি পুরসভার কাউন্সিলর–চেয়ারম্যান। তৃণমূলের নব জোয়ার এখনও এখানে এসে পৌঁছয়নি। এবার আসবে। তাই কাকে, কোন ভূমিকা নিতে হবে সেটা এখানে আলোচনা হতে পারে। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সংগঠনের শক্তি ঝালিয়ে নিতে চাইছেন নেতারা। তাছাড়া এলাকার পরিস্থিতি শান্ত যাতে থাকে তার জন্যও আলোচনা হবে।
কেন এমন হাইভোল্টেজ বৈঠক? সম্প্রতি ব্যারাকপুরের সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে গুলি চালায় ডাকাতদল। তাতে সোনার দোকানের মালিকের ছেলে মারা যায়। তখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন অর্জুন সিং–সৌগত রায়। যদিও সেটা দলের অবস্থান নয়। তাঁরা দু’জনেই সাংসদ হয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেন। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। আবার মদন মিত্র বনাম সৌগত রায় বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তাই দলীয় নেতাদের তাল ছন্দে ফেরাতেই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার বিকেলে টিটাগড়ে অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। ‘নব জোয়ারের’ প্রস্তুতি নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাই সেখানে একাধিক বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এখানে কিছু গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। এই বৈঠকে সেসব মিটিয়ে ফেলার বার্তা দেওয়া হবে। অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা এবার যাবে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে ব্যারাকপুর অশান্ত হয়েই রয়েছে। তার মধ্যে মদন মিত্র অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সৌগত রায়কে আক্রমণ করছেন। তাই সমন্বয় বজায় রাখতে বার্তা দেওয়া হবে ওই বৈঠকে বলে মনে করা হচ্ছে।