মায়ের কাছে থাকে সন্তান। কিন্তু সেই মহিলার স্বামী সন্তানের ভরনপোষণের জন্য টাকা দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। এদিকে এনিয়ে জল গড়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিচারপতি এসএম সুহ্মমণিয়ম গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। এই শুনানির সময় মহিলার আইনজীবীর তরফে জানানো হয় ওই মহিলার স্বামী ওই নাবালক সন্তানের ভরনপোষনের জন্য কোনও টাকাপয়সা দিচ্ছেন না। বর্তমানে সন্তানটি মায়ের কাছে রয়েছে।
এদিকে মহিলার স্বামীর পক্ষের আইনজীবী জানিয়ে দেন, তিনি নাবালক সন্তানের ভরনপোষণের অর্থ দিতে রাজি। কিন্তু ওই মহিলা সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। সেকারণেই তিনি সন্তানের দেখভালের জন্য টাকা দিতে চাননি। আইনজীবী জানিয়ে দেন যতক্ষণ না ওই মহিলা সন্তানকে দেখতে দেবেন না ততক্ষণ স্বামীও টাকা দেবেন না।
এদিকে এই ঘটনায় মহিলার স্বামীকে কার্যত তিরস্কার করেছে আদালত। আদালত ওই স্বামীকে তিরস্কার করে জানিয়েছে, একজন সরকারি কর্মীর কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। কোনও পরিস্থিতিতেই বিষয়টি নিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে না আদালত।
আদালতের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ১১ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে স্বামীরও দেখা দরকার। তিনি ওই শিশুর অভিভাবক। তিনি উপার্জনকারী সদস্য। ঠিক কী সমস্য়া হয়েছিল ওই দম্পতির মধ্যে?
২০২০ সালে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ভুলবোঝাবুঝির জেরে স্বামী ও স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর স্ত্রী তিরুচিরাপল্লিতে তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান।
এরপর বিচ্ছেদ চেয়ে পুনামালিতে ফ্যামিটি কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী। এদিকে স্ত্রীর তরফে আবেদন করা হয়েছিল, কেসটি তিরুচিরাপল্লিতে নিয়ে আসা হোক। এদিকে স্বামীর তরফে দাবি জানানো হয়, তার স্ত্রী একজন ডেন্টিস্ট। পুনামালিতে মামলা লড়ার মতো পরিস্থিতি তার রয়েছে।
এদিকে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও আবেদন না থাকলেও শিশুর ভরনপোষণের জন্য ও তার জীবনের সার্বিক উন্নতির জন্য অর্থ দিতে হবে।
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, স্ত্রী ও সন্তানকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই মেইনটেনেন্স দেওয়া দরকার। এদিকে মহিলার তরফে মামলাটি অন্য কোর্টে ট্রান্সফার করার আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে আদালত। এর সঙ্গেই আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নাবালিকা কন্যার জন্য ৫ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে। প্রতি মাসের ১০ তারিখের আগে তাকে এই ভরণপোষনের টাকা দিতে হবে।