প্রায় ৮ বছরের বিরতির পর পর্দায় ফিরেছিলেন অভিনেত্রী-বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মেয়েবেলা ধারাবাহিকে মধ্য বয়সি গৃহবধূ বিথীর ভূমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। বছরের শুরুতে এই ধারাবাহিক দেখানো শুরু হয় স্টার জলসার পর্দায়। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার আগে থেকেই দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। রূপা নিজেও খুব আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটল ছন্দপতন। ধারাবাহিক থেকে সরে গেলেন রূপা। সেই বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ধারাবাহিকে যেভাবে পুরো বিষয়টি দেখানো হচ্ছিল তা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।
অভিনেত্রী এই ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়ানোয় তাঁর বহু অনুরাগী সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট করতে থাকেন। তাঁরা লেখেন অভিনেত্রীকে ছাড়া বীথি মাসির চরিত্র জমছে না। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে হঠাৎ বদল নেওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ‘ধারাবাহিকে যে অসভ্যতা দেখানো হচ্ছিল তা আমি মানতে পারছিলাম না। এই সময়ে দাঁড়িয়ে একটা সিরিয়াল এতটা রিগ্রেসিভ হতে পারে তা সত্যিই ভাবা যায় না।’
আরও পড়ুন: ‘আলতা ফড়িং’-এর অভিনেত্রী সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন! নিজেই জানালেন বিয়ের দিনক্ষণ
ধারাবাহিক শুরু হওয়ার সময় রূপা জানিয়েছিলেন যে ধরনের মেগা দেখা যায়, এই ধারাবাহিকের গল্প তার থেকে অনেকটা আলাদা। গল্পের কারণেই অভিনেত্রী এই ধারাবাহিকের কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন।পরবর্তীকালে কাজ করতে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁকে বলা গল্পের সঙ্গে ‘বীথিকা’র চরিত্রের কোন মিল নেই। রূপা বলেন, ‘এগুলো চল্লিশ বছর আগে দেখালে মেনে নেওয়া যেত। সবচেয়ে বড় কথা বীথি যে কাজ গুলো করছে তার পিছনে কোনও যুক্তিও নেই।’
আরও পড়ুন: ‘…লাইসেন্স আছে’, মত্ত অবস্থায় স্টেজে ওঠা নিয়ে সাফাই নোবেলের, কী বলছেন গায়ক
অভিনেত্রী জানান মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। প্রতিদিন সেট থেকে ফিরে তিনি কাঁদতেন এবং ভাবতেন ‘কী চরিত্র করছি এটা’! এই বিষয়ে তিনি ধারাবাহিকের নির্মাতাদের সঙ্গে বার বার কথা বলেন। কিন্তু তাঁদের উত্তর প্রতিবার একই থাকত। তাঁরা বলতেন এটাই বাজারে চলছে। তারপর তিনি মেগার প্রযোজকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। এরপর এপ্রিলে তিনি প্রযোজককে চিঠি দেন এবং এই ধারাবাহিক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
Tags: Bengali Serial, Roopa Ganguly